ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ড্রাগনের পর কৃষি উদ্যোক্তা সুরত আলী এবার আম চাষে চমক দেখাচ্ছেন। তার আম বাগানে জিনহুয়াং নামের একটি বিদেশী জাতের আম গাছে সিজেনে ও অফসিজনে আম ধরছে কয়েকবার। এবার সিজনের মুকুল রেখে দিলেও তিনি মূলতঃ অফসিজনে আম উৎপাদন করতে চান। সাইজে বড় ও ভালো স্বাদের এই আম অফসিজনে কাঙ্খিত দামে বিক্রয় করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!আম গাছের পরিচর্যা ও রোগবালাই দমন করা নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, আম গাছে তেমন কোনো রোগবালাই হয় না। এছাড়া পোঁকা মাকড়ের আক্রমনও খুব একটা বেশি হয় না। তারপরও রোগবালাই ও পোঁকা মাকড়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে মাঝে মধ্যে ছত্রাক নাশক ও কিটনাশক স্প্রে করা হয়। এছাড়া গাছে মুকুল আসার আগে ও আমের গুঁটি মটর দানার মতো হলে কার্বান্ডাজিম ও সাইপারম্যাথিন গ্রুপের ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। ফুল-ফলের সময় নিয়মিত সেচ দেয়া হয়।
এব্যাপারে কথা হয় কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনির সাথে। তিনি বলেন, “আমাদের কৃষি উদ্যোক্তরা বিভিন্ন সোর্স থেকে আমের বিভিন্ন জাত সংগ্রহ করছেন। তবে বাংলাদেশে বারি উদ্ভাবিত আমের বিভিন্ন ভালো মানের জাত আছে। এছাড়া কাটিমন, ল্যাংরা ও হিম সাগর আমও যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং চাষ করে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। তবে রঙ, লেইট ভ্যারাটি ও বছরে কয়েকবার হারভেস্ট করা যায় এমন কিছু বিদেশি ভ্যারাইটির প্রতি আমাদের কৃষকরা ঝুঁকছেন। কারণ আমের সুন্দর রঙ ও অসময়ে উৎপাদিত আমের বাজার দর ভালো পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশে বারি উদ্ভাবিত লেইট ভ্যারাইটি বারি-৪ যথেষ্ট ভালো একটি ভ্যারাইটি।” এছাড়া বছরে দুই তিন বার মুকুল আসা জাত বারি-১১ চাষে কৃষকরা বেশ সফলতা পাচ্ছেন তিনি দাবী করেন।