ডেস্ক রিপোর্ট
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের বর্জ্যপদার্থের এক বিরাট অংশ হচ্ছে পলিথিন বা প্লাস্টিক। উপাদানগত দিক থেকে এই পলিব্যাগগুলো মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী, পরিবেশ ও আবহাওয়ার জন্য ক্ষতিকর। তাই পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে যাবতীয় প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ ও পলিথিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর আগে সুপারশপগুলোতে পলিথিন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কাঁচাবাজারগুলোতে এই নিয়ম শুরু হয়েছে আজ ১ নভেম্বর থেকে। পলিথিন নিষিদ্ধ হলে এর বিকল্প কী চলুন তা নিয়ে বিশ্লেষণ করা যাক।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ নিয়ে বহুদিন থেকেই আলোচনা চলছে। যদিও এ ব্যাগ বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসতে পারেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ বলেছিলেন, “সোনালি ব্যাগ নিয়ে সরকারের সঙ্গে উদ্ভাবক মোবারক আহমদ খানের আলোচনা হয়েছে। ব্যাগটির কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এ বিষয়ে অনুমতি পেলেই পাইলটিং চালু হবে। বর্তমান যে সোনালী ব্যাগ দেখা যাচ্ছে, তা ল্যাবে উৎপাদিত। এই ব্যাগ বাজারে বিক্রি বা বাণিজ্যিক উৎপাদন করার অনুমতি এখনো নেই।”
সোনালি ব্যাগ নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা রেজওয়ানা হাসান বলেছিলেন, “পলিথিনের বিকল্প সব সময়ই ছিল। পাট, চট ও কাপড়ের ব্যাগকেই এই মুহূর্তে প্রাধান্য দেওয়া হবে। প্লাস্টিক বা পলিথিনের মত দেখতে পচনশীল ব্যাগকেও বিকল্প হিসেবে আপাতত ভাবা হচ্ছে না।”
সুপারশপে পলিথিন ব্যাবহার বন্ধের পর বিকল্প হিসেবে মোমের প্রলেপ দেওয়া কাগজের ব্যাগ, ব্রাউন ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ, পাটের ব্যাগ রাখতে দেখা গেছে।
এছাড়া তুলা, উল, বেত, সুপারির খোল দিয়ে তৈরি বিভিন্ন বিকল্প ব্যাগের কথা সরকারিভাবে বলা হলেও তা সুপারশপগুলোতে দেখা যায়নি।
মিনা বাজারে ১৩ থেকে ২০ টাকায় চার আকারের ব্যাগ রাখা হয়েছে। স্বপ্নে ব্যাগ পাওয়া যাচ্ছে ৬ থেকে ১৪ টাকার মধ্যে। ইউনিমার্টে কম দামের পাটের ব্যাগের দামই ২৯ টাকা এবং মাঝারি আকারেরগুলো ১৪৫ এবং বড় ও ভালোগুলোর দাম ৪৫০ টাকা।
ব্যাগের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে ক্রেতা ও দোকানিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আয়শা খানম নামের এক ক্রেতা বলেছেন, “কাগজের ব্যাগে কাঁচা মাছ, মাংস বেশি দূর নেওয়া যায় না। তবে একবার ব্যাগ কিনলে বারবার ব্যবহার করা যার এটা ভাল দিক।”
তবে সুপারশপ থেকে বলা হচ্ছে কোনো ক্রেতা ৭০/৮০ হাজার টাকার কেনাকাটা করলে তাকে ব্যাগই কিনতে হয় কয়েক হাজার টাকার। এ নিয়ে অনেক ক্রেতাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।