ওয়ালিউল্লাহ:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের প্রশংসা করে টকশো ও কলাম লিখে জনপ্রিয় হওয়া সাবেক এম পি গোলাম মাওলা রনি, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে, তার কথার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন সুর পরিলক্ষিত হয়। কখনো সরকারের সমালোচনা, কখনো আওয়ামী লীগের পক্ষে দুতিয়ালি। প্রশ্ন উঠেছে গোলাম মাওলা রনি কে? কি চাই? কোন দলের?
প্রশ্নগুলোর উত্তর দেখতে সম্পূর্ণটা পড়ার অনুরোধ রইল।
ফরিদপুরের জন্ম হলেও পটুয়াখালীর৩ আসন থেকে এমপি হয় গোলাম মাওলা রনি।
রনি ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার চরভদ্রাশন গ্রামে ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সামসুদ্দীন মুন্সী ও মাতার নাম মনোয়ারা বেগম। ছোটবেলায় নিজ গ্রাম চর ভদ্রাশনে কাটালেও ১৯৭৪ সালে তার পরিবারের সাথে পটুয়াখালীতে চলে আসেন। ফরিদপুরে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি পটুয়াখালী থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে আইন বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর আরও উচ্চ শিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে পড়ালেখা করেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে পটুয়াখালী থেকে প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য হন।
২০১৩ সালে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের দুজন সাংবাদিকে প্রহারের ঘটনায় রনির বিরুদ্ধে মামলা হলে ২৪শে জুলাই সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় তিনি গ্রেফতার হন এবং তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
এবার ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে আর পান নাই।
২০১৫ সালে রনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এবং পরাজিত হন।
এবার মারলেন ডিগবাজি।
২০১৮ সালের ২৬শে নভেম্বরে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন লাভ করেন।
তবে তার এই জেল জীবনের কিছু জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সাথে কাটানোর সময়, টকশো ও কলাম স্মৃতিচারণ করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে, তার কথার মধ্যে ভিন্ন সুর পরিলক্ষিত হয়। কখনো সরকারের সমালোচনা, কখনো আওয়ামী লীগের পক্ষে দুতিয়ালি। প্রশ্ন উঠেছে গোলাম মাওলা রানী কি চাই?
অনেক নেটিজেন মনে করেন, রনি আওয়ামী লীগে জায়গা না পেয়ে সে সময়, সুবিধা না করতে পেয়ে বিএনপিতে এসেছিল, জামাত ইসলামি নেতাদের নিয়ে কলাম লিখে, ও টকশো তে কথা বলে জনপ্রিয় হয়, এখন আওয়ামী লীগের দু:খের সময় আওয়ামী লীগের হাল ধরে বড় নেতা হতে চাই!
আবার অনেকে মনে করেন উল্টাপাল্টা কথা বলে বিএনপির এবং জনগণের নজর কাড়ার চেষ্টা করছেন।
সম্প্রতি কথা উঠেছে রনির কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেকে সমালোচনা করায় কিছুটা ইমেজ সংকট কাটাতে, টকশোর ভিউ বাড়াতে জামায়াতে ইসলামীর আমীরের প্রশংসা নিয়ে করে আবার একটি কন্টেন্ট তৈরি করে ইমেজ ফেরাতে চাইছেন।
তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ কথাগুলি ঘুরছে রনি তুমি কার।