কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের কাগমারী গ্রামে নিজের বাগানে বিদেশি ফল অ্যাভোকাডো চাষ করে সফল হয়েছে স্কুল শিক্ষক হারুন অর রশিদ মুসা। কৃষি সম্পর্কে জানতে থাইল্যান্ড, ভুটান, ভারত, নেপাল, চীনসহ ১০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন স্কুল শিক্ষক হারুন অর রশিদ মুসা। এরপর শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি আত্মনিয়োগ করেছেন কৃষিকাজে। গড়ে তুলেছেন ফলের বাগান। যেখানে এখন দেশি ফলের সঙ্গে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন বিদেশি ফলও। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাভোকাডো, আঙুর, রাম্বুটানসহ বিদেশি নানা ফল।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বাগানটি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের কাগমারী গ্রামে। হারুন অর রশিদের বয়স ৫০ বছর। তিনি কোটচাঁদপুরের কাগমারী গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। দুই ভাই, তিন বোনের মধ্যে মুসা সবার বড়।
১৯৯২ সালে আলিম পাস করেন তিনি। এরপর কৃষি বিষয়ে জানতে বেরিয়ে পড়েন দেশ ভ্রমণে। ওই সময় ১০টি দেশ ভ্রমণ করেন শিক্ষক মুসা। গ্রামে ফিরে ১৯৯৫ সালে গড়ে তোলেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি নেন ওই বিদ্যালয়েই। সংসার জীবনে দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে তাঁর।
মুসার কৃষিকাজের শুরু ২০০৫ সালে। ১২ বিঘা জমিতে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে বাউকুল চাষ শুরু করেন তিনি। এরপর ২০০৭ সালে ৭ বিঘা জমিতে থাই পেয়ারা, ২০১১ সালে ড্রাগন এবং ২০১৭ সালে চাষ করেন অ্যাভোকাডো। বর্তমানে চাষ শুরু করেছেন আঙুর, রাম্বুটান। তবে গাছ হলেও উৎপাদন এখনো শুরু হয়নি। এ ছাড়া বস্তায় আদা ও মাশরুম চাষ করছেন। পরীক্ষামূলকভাবে আরও কিছু দামি ফলের গাছ রোপণ করেছেন।
২০২৩ সালে শ্রেষ্ঠ উদ্যান চাষি এবং ২০২৪ সালে শ্রেষ্ঠ ফলচাষির জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন মুসা। মুসা বলেন, ‘আমরা জন্মগতভাবে চাষি। লেখাপড়ার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকে কৃষির প্রতি দুর্বলতা ছিল, বিশেষ করে কৃষি বিষয়ে জানতে এবং এ নিয়ে কাজ করার আগ্রহ ছিল। সে কারণে একাডেমিক শিক্ষা শেষ করে কৃষি সম্পর্কে জানতে বেরিয়ে পড়ি দেশ ভ্রমণে। এ পর্যন্ত ১০টি দেশ ভ্রমণ করেছি। বিভিন্ন দেশ থেকে দামি ফলের চাষ সম্পর্কে জেনে বাগানে চাষ করে সফলতাও পেয়েছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাভোকাডো, আঙুর, রাম্বুটানসহ বিদেশি ফল।
কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান বলেন, ‘আমি বেশ কয়েকবার মুসার বাগান পরিদর্শনে গিয়েছি। তিনি ফল চাষের ওপর পুরস্কারও পেয়েছেন। উপজেলায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে অ্যাভোকাডো চাষ করে সফল হয়েছেন মুসা।