ডেস্ক রিপোর্ট
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি মোকাবিলায় ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিদেশি ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এক ডলারের দাম ১১৭ টাকা ধরলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৭ কোটি ডলার বা প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বাংলাদেশ এর আগে কখনোই এক অর্থবছরে এত অর্থ বিদেশি ঋণদাতাদের কাছ থেকে পায়নি।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর বাংলাদেশ গড়ে ৯০০ থেকে ১ হাজার কোটি ডলার বিদেশি ঋণ পায়। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকাসহ দাতাদের কাছ থেকে প্রতিবছর ৭০০-৮০০ কোটি ডলার প্রকল্প সহায়তা পায় বাংলাদেশ। বাকিটা বাজেট সহায়তা, বাণিজ্যিক ঋণ কিংবা সরবরাহকারী ঋণ হিসেবে মেলে।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫০ কোটি ডলারের নতুন একটি বাজেট সহায়তা কর্মসূচির জন্য অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। এখনো বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
গত জুন মাসে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ৫০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা মিলেছে। এডিবির সঙ্গে ১৩৭ কোটি ডলারের দুটি বাজেট সহায়তা নিয়ে দর-কষাকষি চলছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ৪০ কোটি ডলার এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ২৫ কোটি ডলার। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই অর্থ ছাড়ের চেষ্টা চলছে।
তবে পুরো অর্থ এডিবি একা দেবে না। এডিবি দেবে ৬৫ কোটি ডলার। বাকি অর্থের মধ্যে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) অংশ ৪০ কোটি ডলার ও ফ্রান্সের সাহায্য সংস্থার অংশ ৩২ কোটি ডলার।
সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম এ বিষয়ে বলেন, স্থানীয় উৎস থেকে ঋণ নিলে এর সুদের হার বেশি। তাই বিদেশি সংস্থার কাছে বাজেট সহায়তা চাওয়া হয়। এটা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এখন আর্থিক খাত কিছুটা সমস্যায় আছে। তাই বাজেট সহায়তা প্রাপ্তিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য কয়েক মাস ধরে রিজার্ভ স্থিতিশীল হয়েছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে।