ঝিনেদার কাগজ || Jhenedar kagoj || সত্যের আলোয় সুন্দর

২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নারীদের ভয়ে নিজেকে বন্দি রেখেছেন ৫৫ বছর

নারীদের ভয়ে নিজেকে বন্দি রেখেছেন ৫৫ বছর

ডেস্ক রিপোর্ট

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বিপরীত লিঙ্গের প্রতি বেশি আকর্ষণ অনুভব করে না এমন ব্যক্তির সংখ্যা বিরল। কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে এটাই স্বাভাবিক।  নারী-পুরুষ একে অপরের প্রতি আকর্ষণ বোধ করবেই কিন্তু আফ্রিকান শহর রুয়ান্ডার এক ব্যক্তি তার জীবনের ৫৫ বছর নারীদের ভয়ে একটি ঘরে কাটিয়েছেন! ভাবা যায়!

কলিটক্সে নজামউইতা (Callitxe Nzamwita) নামের ৭১ বছর বয়সী সেই পুরুষ জানিয়েছেন, তিনি নারীদের দেখলে আতঙ্কিত হন এবং ভীষণ ভয় পান। তাই ৫৫ বছর ধরে কোনো নারীকে দেখেননি তিনি এবং এটা তিনি করেছেন নিজের ইচ্ছাতেই! তার এই নারী আতঙ্কের কারণে তিনি ৫৫ বছর ধরে নিজেকে এমনভাবে বন্দি করে ফেলেছেন, যাতে তাকে নারীদের মুখোমুখি না হতে হয়।

নারীদের দেখবেন না বলে এই ব্যক্তি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর এজন্য কলিটক্সে নজামউইতা প্রায় ১৫ ফিট উচ্চতায় নিজের জন্য বাড়ি তৈরি করেছেন। নারীদের দেখবেন না বলে এই ব্যক্তি সর্বদাই সচেতন থাকেন। তাই সেখানকার নারীরা তার ঘরের দিকে বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং এবং পোশাক নিক্ষেপ করলেও তিনি তাতে সাড়া দেন না। তার ঘরের দরজাও খোলেন না। যখন সবাই চলে যায় তখন বাইরে ফেলা খাবার এবং পোশাক তিনি ঘরের ভেতরে নিয়ে যান এবং ব্যবহার করেন।

কলিটক্সে জানান, আমি নিজেকে আলাদা করে রেখেছি এবং আমার বাড়িতে বেড়া দেওয়া আছে কারণ আমি নিশ্চিত করতে চাই যেন নারীরা আমার কাছাকাছি না আসে। প্রতিবেশীরা জানান, যখনই তিনি তার বাড়ির আশপাশে কোনো নারী আছেন এমন অনুভব করেন, তখনই তিনি বাড়ির ভেতরে চলে যান এবং নিজেকে তালাবদ্ধ করে রাখেন। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, কলিটক্সে গাইনোফোবিয়া নামক একটি মানসিক রোগে ভুগছেন, যেখানে নারীদের প্রতি ভয় তৈরি হয় একজন পুরুষের মনে।

মূলত গাইনোফোবিয়া বা গাইনেফোবিয়া হলো নারীদের একটি রোগাক্রান্ত এবং অযৌক্তিক ভয়, এক ধরনের নির্দিষ্ট সামাজিক ফোবিয়া। এটি প্রাচীন পৌরাণিক কাহিনির পাশাপাশি আধুনিক ক্ষেত্রেও পাওয়া যায়। অল্পসংখ্যক গবেষক এবং লেখক গাইনোফোবিয়ার সম্ভাব্য কারণগুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন।

প্রাচীন পৌরাণিক কাহিনিতে রহস্যময়, জাদুকর দেহ-পাত্র বা ভীতি প্রদর্শনকারী মহান দেবী হিসেবে নারীর ধারণা প্রচলিত। ভারতে দেবী কালী দ্য টেরিবল হলেন বিশ্বের মাতা এবং মানবজীবনের ভয়ংকর, বিভীষিকাময় এবং রক্তপিপাসু ধ্বংসকারী। তিনি নারী অবতারের বিস্তৃত অ্যারের মাধ্যমে তার ধ্বংসকে আংশিকভাবে প্রকাশ করেন এবং মহান দেবী হিসেবে নারীকে প্রায়শই প্রাচীন গ্রিক পুরাণে মৃত্যুর দেবী হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, প্রাচীন গ্রিক পৌরাণিক কাহিনিতে কমপক্ষে সাতজন নারী দেবীকে স্তন্যদানকারী মা এবং মৃতদের রানি হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।

নারীকে ভয় পাওয়া প্রাচীন পৌরাণিক কাহিনির পাশাপাশি আধুনিক ক্ষেত্রেও পাওয়া যায় আর তা ডাক্তারদের ভাষ্যমতে গাইনোফোবিয়া নামক এক ধরনের মানসিক রোগ। আর কলিটক্সে নজামউইতা গাইনোফোবিয়ায় আক্রান্ত।

কলিটক্সে নজামউইতা জানান, কীভাবে বিপরীত লিঙ্গের মানুষ অর্থাৎ নারীরা তার ভয়ের কারণ হয়ে ওঠে। ১৬ বছর বয়সে তিনি অনুভব করেন যে, নারী ঘনিষ্ঠতার ভয় সহ্য করা খুব বেশি কঠিন। আর তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, যেহেতু তিনি তার চারপাশের নারীদের সহ্য করতে পারেন না তাই তিনি তার বাড়ির চারপাশে একটি কাঠের বেড়া তৈরি করেন এবং তারপর থেকে ৫৫ বছর তার বাড়ির বাইরে পা রাখেননি। নারীদের ভয় পাওয়ার কারণেই তিনি নিঃসঙ্গ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আরও পড়ুন

মিয়ানমারে লড়াইয়ের জন্য জড়ো হচ্ছে রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারে লড়াইয়ের জন্য জড়ো হচ্ছে রোহিঙ্গারা

অনুবাদ রয়টার্স থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী বসতিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস। ২০১৭ সালে বৌদ্ধ অধ্যুষিত মায়ানমার সরকার দেশটির

যবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. এম মজিদের সংবর্ধণা কমিটির প্রস্তুতি সভা

হরিণাকুণ্ডুতে যবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. এম মজিদের সংবর্ধণা কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

হরিনাকুণ্ড প্রতিনিধি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর বরেণ্য শিক্ষাবীদ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সলর অধ্যাপক ড. এমএ মজিদের সংবর্ধনা প্রদান কমিটির

মানুষের ভোটার অধিকার হরণ

‘মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি’

মোস্তাফিজুর রহমান, কোটচাঁদপুর মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি। ধর্ষণ সেঞ্চুরি করে উল্লাস করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি।

দরিদ্র মেধাবী ছাত্র নীরবের পাশে মানবতার হাত

দরিদ্র মেধাবী ছাত্র নীরবের পাশে মাও. আবু তালেব

বনি আমিন, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) ঝিনাইদহের মঙ্গলপৈতা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র সালমান ইসলাম নীরবের পড়াশোনার পথে দীর্ঘদিনের আর্থিক

কপ২৯: বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেল দরিদ্র দেশগুলো

কপ২৯: বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেল দরিদ্র দেশগুলো

ডেস্ক রিপোর্ট দীর্ঘ দর-কষাকষির পর সমঝোতায় পৌঁছেছে কপ২৯। বিশ্বের ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, জলবায়ু সংকটের ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোকে অভিযোজন