ফিচার ডেস্ক
একা যা করতে পারেন তার থেকে দুজনের পার্টনারশিপ আরও বেশি কিছু করতে পারবেন। ব্যবসায় পার্টনারশিপের জন্য পার্টনারের গুরুত্বও অপরিসীম। ব্যবসা পরিচালনায় হয়তো আপনি বলেন একটা, আপনার পার্টনার বলবেন আরেকটা। যখন দুজন কোনো ঐকমত্যে আসতে ব্যর্থ হয়, তখন জানতে হবে আসলে কী করা উচিত। ভালো কিছু করতে চাইলে মতপার্থক্য আলোচনার মাধ্যমে কমিয়ে আনা যায়। আপনার কোম্পানি বা দলের জন্য ভালো ফলাফল চাইলে আপনাকে জানতে হবে কী করে একটি সফল পার্টনারশিপ করা যায়, হয়তো এটি করা একটু কষ্টের কিন্তু তার সুফল কিন্তু মিষ্টি। পার্টনারশিপ ঠিক রাখার জন্য ৫টি টিপস দেওয়া হলো এখানে-
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!কমন লক্ষ্য খুঁজে বের করুন
পার্টনারদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হতে পারে কিন্তু কমন লক্ষ্য থাকাটা জরুরি। এই কমন লক্ষ্যই যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অনুপ্রেরণা হবে এবং মধ্যস্থতার মাধ্যম হবে। একে অপরের আইডিয়া ওই কমন লক্ষ্য অর্জনের জন্য সহায়ক হতে হবে। আমাদের সবারই নিজস্ব আগ্রহ ও মত আছে, দুজন মিলে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একটি সমস্যার সৃজনশীল সমাধান করা সম্ভব। একই উদ্যম নিয়ে সবদিক ঠিক রেখে একই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
পার্টনারের শক্তি কাজে লাগান
সাধারণত পার্টনারশিপে কাজের দায়িত্বের ভাগাভাগি থাকে। একেকজনের আলাদা আলাদা কাজের ক্ষেত্র থাকে। একজন নেতৃত্ব দিলেও পার্টনারশিপ কিন্তু ঠিকই থাকে। কাজ ভাগাভাগি করেই জয় নিশ্চিত করতে হবে। যদি সবাই সবকিছু করতে যায়, তাহলে তালগোল পাকানো খুব স্বাভাবিক। ব্যক্তিত্বের ভিন্নতাই একে অপরকে ভালোভাবে কাজে লাগানোর শক্তি। যে কাজ আপনি ভালো পারেন সেটা আপনি নিজে করুন, অন্য কাজ আপনার পার্টনারকে করতে দিন যা সে ভালো পারে। তাহলে দুজনের মানিকজোড় কাজে আসবে। দুজনের চিন্তাশক্তিও একইভাবে কাজে লাগাতে হবে।
কখন সন্ধি করতে হবে তা জানুন
শক্তিশালী পার্টনারশিপ তৈরি করতে শক্ত ব্যক্তিত্ব জরুরি। কিন্তু শক্ত ব্যক্তিত্বের কারণে অনেক সময় বড় ধরনের মতানৈক্যও তৈরি হতে পারে। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জে আমাদের নতুন নতুন ভিন্নতা প্রকাশ পায় এবং যে বেশি যত্নশীল, সেই জয়ী হয়। যদি কোনো মতানৈক্যের জন্য দুজন পার্টনারের মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তখনই সন্ধি করে ফেলতে হবে এবং মতের অমিলের মীমাংসা করে নিতে হবে। নতুন কিছু করতে গেলেই মতপার্থক্য চলে আসে, কারণ কীভাবে কী করতে হবে তা নিয়ে একেকজনের একেক ধরনের মত রয়েছে। কাউকে না কাউকে কাজ শেষ করতে হবে এবং তা ভালোভাবেই করতে পারার মাঝেই কৃতিত্ব রয়েছে।
পার্থক্যগুলো কাজে লাগান
ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে হলে প্রতিদিনের কাজগুলো ভাগাভাগি করে নিন। একজন আর্থিক ও বাজেটের বিষয়গুলো দেখতে পারে আর অন্যজন অফিসের প্রতিদিনের দেখভাল করতে পারে। কার কী কাজ করতে হবে এটা জানা থাকলে কাজ করা সহজ হয়ে যায় এবং কাজে ভারসাম্য বজায় রাখা যায়। এমন সময় আসতে পারে যখন দুজনই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কোনো একটি কাজ করতে চাইবে, তখন সমঝোতার ভিত্তিতে এমন কিছু বের করতে হবে যেন দুজনেরই ভিন্নতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে সফল হওয়া যায়।
আলোচনায় ভয় পাবেন না
ব্যবসার প্রতিটি প্রজেক্টেই একজনকে নেতৃত্ব দিতে হবে আর অন্যজনকে কাজের হাল ধরতে হবে। এই পদ্ধতি তখনই কাজ করবে যখন কাজের ব্যাপারে দুই পক্ষের মাঝে কৃতিত্ব ভাগাভাগি নিয়ে কোনো সমস্যা থাকবে না। যার আইডিয়া ভালো তার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অন্যজন আইডিয়ার বাস্তবায়ন করতে পারে আর এটা করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো মুক্ত আলোচনা করে সবকিছু ঠিক করে নেওয়া।