ঝিনেদার কাগজ || Jhenedar kagoj

৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
কালীগঞ্জ ফেমাস মেরিট কেয়ার একাডেমি

ইসলামী অর্থনীতির ধারণা ও কর্মকৌশল

ইসলামী অর্থনীতির ধারণা ও কর্মকৌশল

ইসলাম ডেস্ক

ইসলামী অর্থনীতি বর্তমানে একটি বিজ্ঞানে পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এ কথাও বলা যায় যে, অর্থনীতি সাবজেক্টের বয়সও খুব বেশী নয়। মাত্র সত্তর বা আশি বছর। এর পূর্বে এটা পলিটিক্যাল সায়েন্সের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তখন এটাকে পলিটিক্যাল ইকোনমি (Political Economy) বলা হতো।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

গত পঞ্চাশ বছর ধরে ইসলামী অর্থনীতির উপর ব্যাপক কাজ হচ্ছে। বেশ কিছু বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, সিনিয়র অর্থনীতিবিদ এই বিষয়ে কাজ করেছেন- এদের মধ্যে রয়েছেন প্রফেসর খুরশীদ আহমদ, ড. নাজাত উল্লাহ সিদ্দিকী, প্রফেসর ড. ওমর চাপা, ড. মনজের কাহাফ, ড. তরিকুল্লাহ খান এবং ড. মুনাওয়ার ইকবাল। এ ছাড়াও অন্যান্য স্কলাররা এই বিষয়ে অনেক কাজ করেছেন। আস্তে আস্তে ইসলামী অর্থনীতি একটি পূর্ণ বিজ্ঞানে (Science) পরিণত হয়েছে।

আমি ইসলামী অর্থনীতির উপর আলোচনা করতে গেলে এই ইসলামী অর্থনীতির যে দর্শন বা স্ট্র্যাটেজি সেই বিষয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করি। ইসলামী অর্থনীতির দর্শন হলো এই অর্থনীতির ভিত্তি অথবা তার স্ট্র্যাটেজির ভিত্তি বা কর্মকৌশলের ভিত্তি। কেননা, একটি বিল্ডিং যেমন নির্ভর করে তার ফাউন্ডেশনের উপরে, ফাউন্ডেশনটাই বলে দেয় বিল্ডিংটি কি রকম হবে, তেমনিভাবে ইসলামী অর্থনীতির দর্শন বলে দেয় যে, তার স্ট্র্যাটেজিটা কি হবে বা কি হওয়া উচিত।

কিন্তু সেই দর্শন এবং কর্মকৌশল আলোচনার পূর্বে আমি মনে করি বর্তমান বিশ্বে যা চলছে তা সংক্ষেপে আলোচনা করা দরকার। বর্তমানে বিশ্বের সর্বাধিক চলিত (Ruling) অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হচ্ছে ক্যাপিটালিজম (Capitalism)। যদি এই ক্যাপিটালিজমের সমস্যাগুলো বুঝতে পারি তাহলেই আমরা ইসলামী অর্থনীতির গুরুত্ব বুঝতে পারব। এটা এই জন্যেই প্রয়োজন যে, বর্তমান রুলিং আইডিওলজি (Ruling Ideology) দৃশ্যত খুব শক্তিশালী, খুব সফল বলে মনে হয়। অনেকের এও মনে হতে পারে যে, এর বুঝি কোনো দুর্বলতা নেই। কিন্তু এ কথাটা সত্য নয় এবং এ কথাটাই আলোচনা করতে চাই।

প্রথমত, আমি এ কথা বলতে পারি, ক্যাপিটালিজমের বয়স ষোড়শ শতাব্দী থেকে ধরা হয়। প্রায় পাঁচশ’ বছর এর বয়স। এই পাঁচশ’ বছরে ক্যাপিটালিজম যে দুনিয়ায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে তা অস্বীকার করা যাবে না। তেমনিভাবে এ কথাও অস্বীকার করা যাবে না যে, ক্যাপিটালিজম দারিদ্র্য (Poverty ) দূর করতে পারেনি। বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য, অসমতা (Unequality) দূর করতে পারেনি। কাজেই, ক্যাপিটালিজম দোষমুক্ত বা সমস্যামুক্ত এটা যেমন অতীতের ক্ষেত্রে বলা যায় না, তেমনি আজকেও বলা যায় না। আজকেও আমরা লক্ষ্য করছি এই মুহূর্তে অর্থাৎ ২০০২ সালে জাপানের অর্থনীতির মধ্যে একটা নিম্নগতি (downturn) ধারা, আর্জেন্টিনাতে দেখতে পাচ্ছি বিরাট অর্থনৈতিক সংকট। সেখানে অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে গত পাঁচ-ছয় মাসে চারজন প্রেসিডেন্ট বদল হয়ে গেছেন এবং সেখানে বিরাট ক্রাইসিস চলছে।

আমরা গত পনের বিশ বছরে পুঁজিবাদী বিশ্বের অনেক সংকট দেখেছি। সাউথ ইস্ট এশিয়ার বিরাট অর্থনৈতিক ক্রাইসিস দেখলাম বিগত শতাব্দীর একেবারে শেষের দিকে এবং সেটা এখনো চলছে। ল্যাটিন আমেরিকাতেও আমরা বিভিন্ন সময় ক্রাইসিস দেখেছি। এমন কি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও আমরা ডাউন টার্ন লক্ষ্য করেছি বিভিন্ন সময়ে। এ সম্পর্কে অনেক কথাই বলা যায়।

আমি মনে করি, ক্যাপিটালিজমের উপর একটা সংক্ষিপ্ত আলোচনা হওয়া দরকার। ক্যাপিটালিজম আমরা কম বেশী সবাই বুঝি। এই প্রসঙ্গে আমি এটা বলে দেই, এই সব অর্থনৈতিক মতবাদ প্রধানত পাশ্চাত্যেই তৈরী হয়েছে এবং ডেভেলপ করেছে। পাশ্চাত্যের পণ্ডিতরাই এর উপর বেশী কাজ করেছেন। এটাও ঠিক যে, এই কথাগুলো শুধু ক্যাপিটালিজমের ক্ষেত্রেই সত্য নয়, সোস্যালিজমের ক্ষেত্রেও সত্য। ওয়েলফেয়ার ইকোনমিকস (Welfare Economics) নামে যা বিশ্বে চলছে, সেটাও পাশ্চাত্যেরই অবদান। পাশ্চাত্যের চিন্তাবিদরাই এই সমস্ত ধারণা নিয়ে আসছেন।

ইসলামী অর্থনীতির ধারণা ও কর্মকৌশলক্যাপিটালিজমের ভিত্তি ছিল বা এর পেছনে শুরুতে কাজ করত খৃস্টান এথিকস বা খৃস্টান নৈতিকতা। কারণ পাশ্চাত্যের যেখানে এর ডেভেলপমেন্ট হয় সেই সমাজ মূলত খৃস্টান ছিল। মৌলিকভাবে জনগণ খৃস্টীয় এথিকসে বিশ্বাস করত। ফলে ক্যাপিটালিজমের অর্থনৈতিক নীতিমালায় যাই ত্রুটি থাকুক না কেন খৃস্টান এথিকস তাকে মডারেট করত, তার খারাপ প্রভাবকে সংযত করত, তাকে কন্ট্রোল করত।

পরবর্তীকালে যে ঘটনা ঘটল- অষ্টাদশ শতাব্দীতে মুক্তবুদ্ধির (Enlightenment) যে আন্দোলন শুরু হলো এই মুক্তবুদ্ধির আন্দোলনের মূল দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ- কোনো কোনো লেখকের ক্ষেত্রে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নাস্তিকতা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধর্মকে জীবনের মৌলিক কর্মকাণ্ড থেকে বাদ দিয়ে দেয়া। এই আন্দোলনের কারণে বাস্তবে যেটা ঘটে গেল সেটা হলো

সেক্যুলারিজম প্রাধান্য পেল এবং সমাজ সেক্যুলারিস্ট হয়ে গেল। সেখানে মোরালিটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়ল এবং রিজনকে (যুক্তি) প্রাধান্য দেয়া হলো। এতে মনে করা হলো- যুক্তিই সবকিছু সমাধান করতে পারে। যদিও আমরা জানি, যুক্তিবাদে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। এর দ্বারা সব সমাধান করা যায় না। যুক্তিবাদ সত্ত্বেও মানুষের ভেতর এত মতবিরোধ হয়ে থাকে এবং আজকে যেটা যুক্তিসংগত মনে হয় কালকে সেটা যুক্তিসংগত থাকে না। এই সমস্ত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও একটা সময় গেছে যখন রিজনকে প্রায় পূজা করা হতো। আল্লাহর স্থানে, গড়ের স্থানে রিজনকে নিয়ে আসা হলো। যেটা ভ্রান্ত ছিল। যেটা বিভ্রান্তি ছিল, ভুল ছিল।

এনলাইটনমেন্ট মুভমেন্টের কারণে (ক্যাপিটালিজমের ভিত্তি হওয়ার কারণে বা এর ফলাফল স্বরূপ) চলে আসল ম্যাটেরিয়ালিজম (Materialism ) – ভোগবাদ, ব্যক্তিবাদ, স্বার্থপরতা এইসব। বেশি হাই কনজাম্পশান চলে আসল। অন্যদিকে এটা একটা সামাজিক ডারউইনিজম সৃষ্টি করল। আমরা ডারউইনিজম সম্পর্কে জানি। সেই ডারউইনিজম হচ্ছে, জীব জগতের যে ধারণা সেটা ডারউইন থেকে এসেছে বা ডারউইন যেটা উদ্ভাবন করেছেন (Natural selection and survival of the fittest)। এখন সোস্যাল ডারউইনিজম বিশ্বব্যাপী এই গুরুত্ব পেয়েছে যে, এখানেও হবে Survival of the fittest এবং Natural selection. ক্যাপিটালিজমের মাধ্যমে এই এনলাইটনমেন্ট মুভমেন্টের কারণে এবং ম্যাটেরিয়ালিজমের বিকাশের কারণে এই ধারণা সৃষ্টি হয়ে গেল যে, অর্থনীতিতেও natural selection হবে এবং এখানে শুধু ফিটেস্টরাই সারভাইভ করবে। যোগ্যরাই বাঁচবে। যদি তাই হয় অর্থনীতিতে, তাহলে তার মানে হবে প্রকৃতপক্ষে কোনো দুর্বলের স্থান থাকবে না। দরিদ্রের স্থান থাকবে না। তাদের খুব সংকীর্ণ স্থান থাকবে, যদি থাকে। সোজা কথা, বিশ্ব অর্থনীতি বড়লোকের, যোগ্যের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। অর্থাৎ ক্যাপিটালিজম, ম্যাটেরিয়ালিজম এনলাইটনমেন্ট মুভমেন্টের কারণে, সোস্যাল ডারউইনিজমের কারণে এটা একটি ডকট্রিন হলো। দর্শনে ঢুকে গেল যে, অর্থনীতিতে শুধু যোগ্যরাই সারভাইভ করবে। তার মানে দরিদ্রের প্রতি খৃস্টান ইথিকসের কারণে যে মায়া-মহব্বত ছিল, তাদের প্রতি যে দায়িত্ববোধ ছিল, সেটা ফিলোসফিক্যালি উঠে গেল। এমন কি দর্শনের মাধ্যমে সেটা উঠে গেল। তারা তখন যুক্তি খাড়া করতে পারল না যে, যদি দরিদ্র মরে যায় কি করা যাবে? ফিটেস্টরাই তো সারভাইভ করবে। দরিদ্ররা মরে যাবে এবং সবলরাই থাকবে। এই ধরনের ফলাফল দেখা দিল অষ্টাদশ শতাব্দীর মুক্তবুদ্ধির আন্দোলনের কারণে।

এছাড়া ক্যাপিটালিজমের থিওরীর পেছনে কতগুলো অগ্রহণযোগ্য ধারণা ছিল (Concepts), যেগুলো কিছুটা আমাদের জানা দরকার। যেগুলো প্রকৃতপক্ষে একেবারেই সঠিক গ্রহণযোগ্যও নয়। যেমন একটি হচ্ছে তারা বলেন যে, অর্থনীতির আইনগুলো হচ্ছে ফিজিক্যাল ল’জের মতো। যেমন যেভাবে পৃথিবী ঘুরছে বা সূর্য যেভাবে চলছে নিজস্ব নিয়মে অথবা বায়ুপ্রবাহ অথবা নদী বা সমুদ্রের গতি প্রভৃতি ফিজিক্যাল ল’জ যেমন পারফেক্ট তেমনি ইকোনমিক ল’জও সিমিলারলি পারফেক্ট। Economic laws are like physical laws. এরকমই একটা ধারণা নিয়ে আসা হলো। তারা এগুলো বিশ্বাস করত বা করে। এবং এটা একেবারে সত্য নয় যে, আমরা নিজেরা জানি আমরা যদি কোনো মার্কেটে যাই মার্কেটে ক্রমাগত পরিবর্তন হতে থাকে। যেই পরিবর্তন আমাদের সোলার (Solar ) সিস্টেমে হয় না বা আমাদের ফিজিক্যাল ল’জে হয় না। অথচ মার্কেট- সেটা স্টক মার্কেটই হোক কি বাজারদর হোক- সবকিছু ব্যাপক পরিবর্তনের সম্মুখীন। সুতরাং এ রকমই একটা ভুল ধারণার ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে ক্যাপিটালিজম।

দ্বিতীয়ত, তারা বললো যে, মানুষের কাজের মোটিভেশন বা কাজ করার প্রেরণাটা কি ? তারা বলল, মানুষের কাজের মোটিভেশন হলো শুধু তার স্বার্থপরতা (Pecuniary Interest)। মানুষ মূলত স্বার্থপর এবং তার স্বার্থপরতা, স্বার্থ উদ্ধার করা এটাই হচ্ছে তার মোটিভেশন, প্রকৃত মোটিভেশন। এটাকেই তারা টেকনিক্যালি বলে Rational Economic war মানুষ হচ্ছে Rational, যুক্তিবাদী। এ যুক্তির পরিচয়টা কি? যুক্তির পরিচয় হচ্ছে এই যে, সে স্বার্থের জন্যে কাজ করে। তবে এ কথা ঠিক যে, মানুষের মধ্যে স্বার্থপরতা রয়েছে এবং স্বার্থ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

মানুষ কেবল স্বার্থের জন্যেই কাজ করে- এ কথা সত্য নয়। তাহলে দুনিয়ায় এত ত্যাগ (Sacrifice) মানুষ করতে পারত না। পরিবারের জন্যে, সমাজের জন্যে মানুষ এত ত্যাগ তাহলে করত না। এত চ্যারিটি তাহলে দুনিয়াতে থাকতো না।

তৃতীয়ত, তারা একটি মূল্যবোধহীন অর্থনীতির জন্ম দিল। তারা একটি ডকট্রিন খাড়া করল পজিটিভিজম (positivism)। পজিটিভিজম হলো অর্থনীতিতে কোনো মূল্যবোধ নেই। অর্থনীতিতে মূল্যবোধ আসলেই অর্থনীতি প্রভাবিত হয়ে যাবে। অর্থনীতি তার ন্যাচারাল কোর্স থেকে সরে পড়বে। এ কথাও তারা বলতে চাইলেন যে, তাহলে অর্থনীতি একটি বিজ্ঞান থাকবে না। কিন্তু এরকম দৃষ্টিভঙ্গি যে, অর্থনীতির কার্যক্রমে কোনো মূল্যবোধ থাকবে না- এটা অত্যন্ত মারাত্মক। এটা আমরা নিজেরাও বুঝি। আর তাই যদি হয় তাহলে কোন যুক্তিতে আমরা দরিদ্রের জন্য কাজ করব? দারিদ্র্য কেন দূর করব? কেন আমরা নিরক্ষরতা দূর করব? কেন আমরা বঞ্চিত জনগণের জন্য কাজ করব? এগুলো তো মূল্যবোধের সাথে সম্পর্কিত।

সুতরাং পজিটিভিজম ধারণা ক্যাপিটালিজমে প্রবেশ করল যে, অর্থনীতিতে কোনো মূল্যবোধ নেই। ক্যাপিটালিজমের অপর নাম মূল্যবোধহীন অর্থনীতি। এটা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না অথচ এটাই চলছে ক্যাপিটালিজমের নামে। আবার বলা যায় পুরোপুরি চলছেও না । কারণ মানুষের মানবিকতা কখনো কখনো এসব বিষয় কার্যকর হতে দেয় না। কারণ এগুলো সব আন-ন্যাচারাল (অস্বাভাবিক) ধারণা। এ জন্যে হয়ত বা এগুলো থিওরিতে আছে তবে বাস্তবে তা পুরোপুরি কার্যকর করা সম্ভব হয় না।

তারপর ক্যাপিটালিজমের পর্যায়ে যে জিনিসটি বলা যায় সেটা হলো তারা যে মার্কেট সিস্টেমকে গুরুত্ব দিচ্ছে- (সত্য কথা মার্কেট সিস্টেমে বিরাট গুরুত্ব রয়েছে) তারও অনেক সমস্যা রয়েছে। সেটা তারা স্বীকার করে না। ক্যাপিটালিজমের যে মার্কেট সিস্টেম- এর অনেক ভালো দিক আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। Allocation of resource- এ মার্কেট একটি ভালো কাজ করে, এটা আমি অস্বীকার করতে পারি না। কিন্তু আমাদের এটা মনে রাখতে হবে যে, ক্যাপিটালিজমে মার্কেট সিস্টেমটাকে যে রকম পুরোপুরি পারফেক্ট মনে করা হয় তা কিন্তু সত্য নয়। বাস্তবে মার্কেট সিস্টেমের মাধ্যমে পুরোপুরি রিসোর্স বা সম্পদের সঠিক বণ্টন (Proper allocation) হয় না। ন্যায়বিচারমূলক বণ্টন হয় না । তার প্রমাণ স্বরূপ আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বলতে পারি, সেটা হচ্ছে বাস্তবে মার্কেট সিস্টেমে বা ক্যাপিটালিজমে যেটা হয় যে, একটা দেশে জনগণের একটা অংশের হাতে কিন্তু প্রয়োজনীয় ক্রয়ক্ষমতা নেই। আমাদের দেশে অর্ধেকেরও বেশী লোক দারিদ্রসীমার নীচে বাস করে। তাদের কাছে ডলার বা পাউন্ড নেই। তারা কিনতে পারে না। তারা প্রয়োজনীয় জীবনসামগ্রী কিনতে পারে না বলে তাদের প্রয়োজনটা মার্কেটেই যায় না, যেতেও পারে না। কারণ তাদের টাকা নেই, তারা কিনতে পারছে না। ফলে তাদের প্রয়োজন মার্কেটে আসছে না। তাদের দুধ দরকার সেই প্রয়োজন মার্কেটে আসছে না। তাদের ওষুধ দরকার সেই প্রয়োজন মার্কেটে যায়নি। তাদের বাড়ি দরকার, বাড়ি ভাড়া করা দরকার সেই প্রয়োজন মার্কেটে যায় না। কারণ তারা সেটা কিনতে পারছে না। এটা একটা দিক।

অন্যদিকে মার্কেট সিস্টেমে যেটা হয়, যাদের টাকা আছে তারা হয়ত চারটা গাড়ি কিনতে পারে। তারা বিরাট বিরাট বাড়ি বানাতে পারে। অন্যদিকে যাদের টাকা নেই তারা দুধ পর্যন্ত কিনতে পারে না। ওষুধ কিনতে পারে না। ফলে দুটো ফল জনগণের হয়। পূর্ণ ও সঠিক ডিমান্ডটা মার্কেটে আসতে পারে না বর্তমান মার্কেট সিস্টেমের কারণে এবং দ্বিতীয়ত প্রাইঅরিটিস (Priorities) নষ্ট হয়ে যায়। দরকার দুধের অথচ মার্কেট বলছে বিলাসসামগ্রী বানাও, কেননা Price mecha nism-এর মাধ্যমে বাজারে ঐসব দ্রব্যের চাহিদা এসেছে। গাড়ির চাহিদাটাই মার্কেটে আসছে। দুধের চাহিদা আর আসতে পারছে না।

সুতরাং মার্কেট সিস্টেম একটা পারফেক্ট সিস্টেম নয় যার মাধ্যমে Equitable allocation of resource হবে। কারণ রিসোর্স চলে যাবে সেই দিকে, যেদিক থেকে মার্কেটে ডিমান্ড আসছে। সম্পদ সেই দিকেই যাবে, যেই ডিমান্ডটি মার্কেটে আসে । ফলে যে ডিমান্ড আসছে না (দুধের ডিমান্ড পুরোপুরি আসছে না) সেদিকে তো সম্পদ যাচ্ছে না । এরকম প্রচণ্ড ইমপারফেকশন (Imperfection) মার্কেট সিস্টেমে রয়েছে। সুতরাং যারা মনে করেন মার্কেট সব সমস্যার সমাধান করবে (Market is everything and Market can solve all problems and market is perfect) তারা সম্পূর্ণ ভুল করেন, তারা মার্কেটের দাস ( Servant ) হয়ে যান। সেটা হওয়া ঠিক হবে না। Market is important, কিন্তু মার্কেট একমাত্র বিবেচ্য বিষয় নয়।

এই কনটেক্সটে (Context) এখন ইসলামের অর্থনীতির যে মূল ভিত্তি বা তার যে স্ট্র্যাটেজি-সে সম্পর্কে আলোচনা করতে চাই। তার কারণ হচ্ছে, এই যে ক্যাপিটালিজম, যেটা রুলিং আইডিওলজি, তার দুর্বলতা বোঝার কারণে আমরা ইসলামি অর্থনীতির কর্মকৌশলটা ভালো বুঝব। ইসলামী অর্থনীতিবিদগণ তিনটি বিষয় বা কনসেপ্টকে মূল ভিত্তি বলেছেন। একটি হলো তৌহিদ। এই তৌহিদ মানে হচ্ছে এই পৃথিবী আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। এটা তাৎপর্যহীন সৃষ্টি নয়। সকল মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি । সকল মানুষের গুরুত্ব রয়েছে এবং সকল মানুষেরই গুরুত্ব দিতে হবে।

ইসলামী অর্থনীতির দ্বিতীয় ভিত্তি হচ্ছে খেলাফত। খেলাফত হলো- মানুষ আল্লাহর খলীফা। প্রতিটি মানুষই- নারী পুরুষ নির্বিশেষে। আমেরিকান, ইউরোপিয়ান, এশিয়ান সকলেই আল্লাহর খলীফা। সূরা বাকারা, সূরাতুল ফাতিরে এবং অন্যান্য সূরাতে এ কথা বলা হয়েছে। খেলাফত অত্যন্ত সম্মানিত করেছে মানুষকে। মানুষ কোনো চান্স প্রোডাক্ট (Chance product) নয়। হঠাৎ করে একটা এক্সিডেন্টের মাধ্যমে সে সৃষ্টি হয়ে গেছে- এ রকম সে কিছু নয়। মানুষ জন্মগত অপরাধী (Born sinner)-ও নয়। যেমন পাশ্চাত্যে মনে করা হয়। খেলাফতের ধারণা মানুষের মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠা করেছে। খেলাফতের তাৎপর্য হলো, Universal brotherhood. অর্থাৎ সকল মানুষ ভাই বা ভাই-বোন এবং ভাই-বোন হিসেবে তারা মর্যাদার অধিকারী, সমতার অধিকারী, এবং সমভাবে তাদের দিকে খেয়াল করতে হবে। খেয়াল করার প্রয়োজন রয়েছে। এর আরেকটা তাৎপর্য হলো, মানুষ মূল মালিক নয়। মূল মালিক আল্লহ পাক এবং সম্পদ (Resource) একটা আমানত মাত্র। যে কোনোভাবে সে সম্পদকে ব্যবহার করতে পারে না। সম্পদকে ব্যবহার করতে হবে আল্লাহ তায়ালা যেভাবে চেয়েছেন ঠিক সেভাবে, এগুলো হলো খেলাফতের ধারণার গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য।

(তৃতীয় ভিত্তি জাস্টিস-ইনসাফ বা ন্যায়বিচার। আদল হলো কুরআনের পরিভাষা। কুরআনে প্রায় একশ’ আয়াত আছে, যেখানে জাস্টিসের কথা বলা হয়েছে আরো একশ’ আয়াত আছে যেখানে জুলুমের নিন্দা করা হয়েছে। তার মানে হলো, অর্থনীতিতে জুলুম থাকলে চলবে না এবং জাস্টিস আনতে হবে। এটাই হলো জাস্টিসের মূল তাৎপর্য।

কিন্তু প্রাকটিক্যালি আরো পরিষ্কারভাবে যদি বলতে হয় সেটা হচ্ছে যে, জাস্টিসের দাবী হলো সকল মানুষের প্রয়োজনকে পূর্ণ করতে হবে, সকলের জন্য সম্মানজনক আয়ের ( Respectable earning) ব্যবস্থা করতে হবে। এমনভাবে অর্থনীতিটাকে সাজাতে হবে, এমনভাবে কর্মকৌশলটাকে নির্ধারণ করতে হবে যাতে সকলের আয়ের ব্যবস্থা হয়। যদি কারোর আয়ের ব্যবস্থা না হয়, যদি কেউ সম্মানজনক আয়ের ব্যবস্থা না করতে পারে- (যদি তার কোনোরকম শারীরিক বা মানসিক দুর্বলতা থাকে বা অর্থনৈতিক কোনো বিপর্যস্ত অবস্থা থাকে সে অবস্থায় অনেকে হয়ত ইনকাম করতে পারল না) তাদের ব্যবস্থা করতে হবে তার পরিবারের বা আত্মীয়-স্বজনদের, তারা যদি না পারে তাহলে রাষ্ট্রকে করতে হবে। এই হলো মোটামুটি জাস্টিসের দাবী।

এখন আসা যাক ইসলামী অর্থনীতিতে যে কর্মকৌশল (Strategy) সে সম্পর্কে। চারটি স্ট্র্যাটেজির কথা আমাদের অর্থনীতিবিদরা বলেছেন। অনেক কথাই অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, তবে এর মধ্যে চারটি কথাই প্রধান বলেছেন। এর মধ্যে একটা হলো নৈতিক ছাঁকনি লাগবে। অর্থাৎ রিসোর্সের একটা পয়েন্ট অব টাইম বা সময়ের একটা সীমা আছে এবং এর ডিমান্ডটা প্রায় সীমাহীন। ফলে এ দু’টির মধ্যে মিলাতে গেলে ডিমান্ডের উপর এমন একটা ছাঁকনি দরকার যাতে ডিমান্ডগুলো যেন একটু কমে আসে, সংযত থাকে।

একটি ছাঁকনি হলো প্রাইস (Price) যেটা আধুনিক ক্যাপিটালিজমে আছে। প্রাইসের মাধ্যমে ডিমান্ডকে সংযত করা। আমার টাকা কম সুতরাং আমি কিনতে পারবো না- এটা হচ্ছে এক ধরনের ছাঁকনি, এক ধরনের ফিল্টার, যার মাধ্যমে এটা হয়। ইসলাম এই প্রাইস ফিল্টারকে মেনে নিয়েছে। আবার মেনে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটা জিনিস সে নিয়ে আসে। সেটাকে বলা হয় নৈতিক ফিল্টার। অর্থাৎ মানুষের মধ্যে ইসলাম এমন একটা নৈতিকতা সৃষ্টি করেছে- এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে যে, মানুষ যেন অপব্যয় না করে। অতিভোগ যেন না করে। অতিরিক্ত ভোগের দিকে যেন তার নজর না যায়। নৈতিক ছাঁকনির গুরুত্ব অনেক, কেননা মূল্য ছাঁকনি (price filter) দ্বারা কেবল দরিদ্র মানুষের দাবী কমানো যায়। সুতরাং এই একটা স্ট্র্যাটেজি ইসলামী অর্থনীতিবিদরা সাজেস্ট করেছেন (In addition to price filter), কর্মকৌশলের অংশ হিসেবে একটা Moral filter নিয়ে আসা। নৈতিক ছাঁকনি নিয়ে আসা যাতে করে ডিমান্ড সংযত হয়ে যায়। প্রাইসের মাধ্যমেও আমরা ডিমান্ডকে সংযত করব, অন্যদিকে আমরা নৈতিক ছাঁকনির মাধ্যমে অতিরিক্ত ভোগ নিয়ন্ত্রণ করব। যতবেশি ভোগ করব, ততবেশি আল্লাহর কাছে দায়ী হব। আমাদেরকে জবাব দিতে হবে। এর জন্য চ্যারিটি করতে হবে। এইসব মাধ্যমে ডিমান্ডকে এর দাবীকে কমিয়ে এনেছে। যাতে নাকি আমাদের কোনো একটা নির্দিষ্ট সময়ে রিসোর্সের প্রাপ্যতার সঙ্গে ডিমান্ডের সংঘাতটা কমে আসে।

দ্বিতীয়ত, ইসলামী অর্থনীতিবিদরা যে স্ট্র্যাটেজির কথা বলছে, সেটা হলো প্রপার মোটিভেশন (Proper motivation)। আমাদের প্রপার মোটিভেশন থাকতে হবে, প্রপার মোটিভেশন সৃষ্টি করতে হবে। ক্যাপিটালিজম এই মোটিভেশনকে · একমাত্র স্বার্থ বলেছে। কিন্তু ইসলাম বলেছে, না। স্বার্থ ঠিকই আছে, সেটা অস্বীকার করছে না। কিন্তু এই স্বার্থ ধরতে হবে- (ক্যাপিটালিজমে যেমন শুধু দুনিয়াভিত্তিক স্বার্থ) ইসলাম বলছে এই স্বার্থপরতাকে বিস্তার করে দিতে হবে। অর্থাৎ দুনিয়া ও আখিরাত মিলে যে স্বার্থ সে স্বার্থ। এ দুটো মিলে যাতে লাভ সেটাই তোমার স্বার্থ। এডুকেশনের মাধ্যমে, মিডিয়ার মাধ্যমে, প্রচারের মাধ্যমে, ওয়াজের মাধ্যমে, দাওয়ার মাধ্যমে- সর্ব উপায়ে এটা করতে হবে। জনগণের মাঝে Proper moti – vation সৃষ্টি করতে হবে। অর্থনৈতিক কাজকর্মে কেবল দুনিয়ার স্বার্থ দেখলে চলবে না। দুনিয়ার স্বার্থ এবং আখেরাতের স্বার্থ দেখতে হবে। সুতরাং ইসলাম কি করেছে – মটিভেশনের যে স্বার্থপরতা, সেটাকে সে বিস্তৃত করে দিয়েছে। এখানে দুনিয়া ও আখিরাত মিলে যে স্বার্থ সেটাই হলো আসল স্বার্থ । বেসিক কর্মকৌশলের মধ্যে এটা রয়েছে।

উপরের বিষয়গুলো বাস্তবায়নে সময় লাগবে। এ জন্য ইসলামী অর্থনীতিবিদরা তৃতীয় কর্মকৌশলও নির্ধারণ করেছেন Socio-economic finan- cial restructuring. এই বিষয়টিকেই তারা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন। অর্থাৎ সামাজিক ব্যবস্থাকে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে এবং ফাইনান্সিয়াল ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করতে হবে। এইসব বিষয় ব্যাপক আলোচনার প্রয়োজন, এর জন্য ইসলামী অর্থনীতিবিদদের বই পত্র পড়তে হবে। এটা আমার অনুরোধও। বিশেষ করে ড. ওমর চাপরার Islam and the Economic challenge বইটি পড়তে হবে। সেখানে তিনি অনেক সাজেশন দিয়েছেন। ব্যাংকিং সিস্টেমের কি পরিবর্তন করতে হবে, মনিটরিং পলিসির (Monitoring policy) কি পরিবর্তন করতে হবে। ফিসকেল (Fiscal) সিস্টেমে কি কি পরিবর্তন করতে হবে। ব্যাংকের টাকা সৃষ্টির ক্ষমতাকে (Power to money creation) কিভাবে সংযত করতে হবে। ফুল এমপ্লয়মেন্টকে নিশ্চিত করার জন্য কিভাবে স্মল ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে, মিডিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এগ্রিকালচার এবং রুরাল অর্থনীতির উপর গুরুত্ব দিতে হবে। শুধুমাত্র আরবান বেসড (Urban based) হলে চলবে না। বিস্তৃত আলোচনা ইসলামী অর্থনীতিবিদরা এ সম্পর্কে করেছেন। সেগুলো আমাদের দেখতে হবে এবং ইসলামের সিনিয়র ইকনমিস্টদের এ সম্পর্কিত বইপত্রগুলো পড়তে হবে।

কর্মকৌশলের চতুর্থ দিক হলো, তারা যে কথাটি বলেছেন তা হলো, Social re- structuring, Economic re-structuring 47 financial re-structuring- এই কাজটি করতে হবে সরকারকে। ইসলামের অবস্থা সমাজতন্ত্রের মত নয় যে, সরকারই সব করবে। আবার পুঁজিবাদের মতোও নয় যে, মার্কেটই সব করবে। ইসলাম বলে, মার্কেট আশি পার্সেন্ট করবে কিন্তু বিশ পার্সেন্ট সরকারকে করতে হবে (এ হার পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পরিবর্তন হতে পারে)। এটাই হচ্ছে, Work of the state বা সরকারের ভূমিকা। এগুলোই হচ্ছে ইসলামী অর্থনীতির মূল স্ট্র্যাটেজি- যে চারটির কথা আমি এতক্ষণ উল্লেখ করলাম। কিন্তু এখানে আবার উল্লেখ করছি যে, বিস্তৃত জানার জন্যে আমাদেরকে অবশ্যই পড়তে হবে।

আরও পড়ুন

কঙ্গোতে সংঘর্ষে ৭০০ নিহত

কঙ্গোতে সংঘর্ষে ৫ দিনেই অন্তত ৭০০ নিহত: জাতিসংঘ

ডেস্ক রিপোর্ট মধ্য আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর গোমায় বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর তীব্র লড়াইয়ে পাঁচদিনেই

শিক্ষা ব্যবস্থা দ্বিধারায় বিভাজিত হওয়ায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বমানের

‘দ্বিধারায় বিভাজিত হওয়ায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বমানের হয়নি’

ডেস্ক রিপোর্ট আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দ্বিধারায় বিভাজিত হওয়ায় স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পরেও শিক্ষা ব্যবস্থা বৈশ্বিক মানে উন্নীত করা সম্ভব

উএনও উছেন মে

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হলেন কোটচাঁদপুর ইউএনও উছেন মে

রোকনুজ্জামান কোটচাঁদপুরঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উছেন মে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছেন। নিজের কর্মদক্ষতা, সরকারি

নিজেকে ক্লোন করতে সক্ষম এআই

নিজেকে ক্লোন করতে সক্ষম এআই

প্রযুক্তি ডেস্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি লাভ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি চীনের গবেষকরা দাবি করেছেন, দুটি জনপ্রিয়

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পুকুরপাড় থেকে ১৪টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

বনি আমিন, কালীগঞ্জ: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর মুন্দিয়া গ্রামে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১৪টি মরিচাধরা দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।Thank you for

মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে অনিয়ম ও নিয়োগ বাণিজ্য

মোচিক শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ করেনি শ্রম অধিদপ্তর

বনি আমিন, কালীগঞ্জ: হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করেই মোবারকগঞ্জ চিনিকল (মোচিক) শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হওয়ায় নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ করেনি