ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!পর্দাব্যবস্থা না থাকায় মুসলিম হয়েও অমুসলিমদের মতো চলছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা। যারা মুসলিম আইন মেনে চলছেন হরহামেশাই তারা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন, সমাজের নানা শ্রেণীর কুটুক্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। ঠিক যারা এই কুটুক্তি করে থাকেন তারাই শাশুড়ী-জামাই, ভাবী-দেবর অর্থাৎ ইসলামে নিষিদ্ধ সম্পর্কগুলিতে জড়িয়ে পড়ছেন।
বাংলাদেশের আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় ভারতীয় সিরিয়াল, ক্রাইম সিরিজের প্রভাব পড়েছে । সিরিয়ালগুলিতে দেখা যায় হারাম-হালাল সম্পর্কের বাঁচবিচার না করেই চলছে সে অঞ্চলের মানুষ । তাতে ঘটছে নানা অঘটন। ঠিক তেমনই ঘটনা ঘটেছে কালীগঞ্জ থানার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে। শাশুড়ি-জামাইয় ধরাপড়ল আপত্তিকর অবস্থায়।
গতকাল রাত আনুমানিক ১২টার সময় শাশুড়ির সাথে পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা পড়ে হুমায়ুন। তাৎক্ষণিকভাবে এলাকাবাসী অভিযুক্ত মেয়ে এবং ছেলেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধ আনোয়ার হোসেনের বাসায় নিয়ে যান।
অভিযুক্ত হুমায়ুনের বাড়ী কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচানপুর গ্রামের মইদুলের ছেলে এবং অভিযুক্ত মেয়ের বাড়ী বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের রায়হানের স্ত্রী
একপর্যায়ে অভিযুক্ত মেয়ের স্বামী মোহাম্মদ রায়হান মিয়া দুইটি পুত্র সন্তানসহ স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন। অভিযুক্ত ছেলেকে এলাকাবাসীর মতামত অনুযায়ী নির্ধারিত জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনা কেন্দ্র করে এলাকাবাসী বলেন, বেশ কিছুদিন আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল অভিযুক্ত ছেলে-মেয়ে (জামায়-শাশুড়ী)।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ৬নং ত্রিলোচানপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসাইন জানান, অভিযুক্ত ছেলে হুমায়ুন যদি এই ধরনের ঘটনা তৃতীয়বার করার চেষ্টা করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।