কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে পুরুত্ব (থিকনেস) মূছা এসএস পাইপ দিয়ে কাজ করা হয়েছে কোটচাঁদপুর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের। এ কাজের অনিয়ম তুলে ধরে সম্প্রতি বেশ কিছু দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ দিকে ওই পাইপের পুরুত্ব নিয়ে প্রকৌশলীর কাছে কোন সদোত্তর না থাকলেও সংবাদের প্রতিবাদ দিয়ে ঠিকাদারের পক্ষে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চালাচ্ছেন,তিনি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন,এলাকাবাসী।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,সম্প্রতি কোটচাঁদপুরে বেশ কয়েকটি নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,কোটচাঁদপুর গরুর হাটে নির্মিত ডায়াবেটিস ও শিশু হাসপাতাল,সরকারি কেএমএইচ ডিগ্রি কলেজ ভবন ও নির্মাণাধীন কোটচাঁদপুর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন।
ওইসব ভবনেও ব্যবহারিত হয়েছে,এসএস পাইপ। ওই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে স্ট্রীলটেক ও কেএসপি পাইপ। এ ছাড়া পাইপে গায়ে খোদাই করে লেখা আছে পুরুত্ব।
অথচ কোটচাঁদপুর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনটিও সরকারি ভাবে নির্মিত হচ্ছে। তবে এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রিয় স্টীল পাইপ। এ ছাড়া প্রতিটি পাইপের গায়ে খোদাই করা পুরুত্ব লেখা মূছা রয়েছে পাইপ গুলোয়। ওই সময় বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে অবগত করেন গণমাধ্যম কর্মীরা। সংবাদও প্রকাশিত হয় এসএস পাইপের কাজের অনিয়ম তুলে ধরে।
তারপরও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের। তবে গেল কয়েকদিন আগে উপজেলা প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলী এসএস পাইপের পুরুত্ব মেপে ঠিক পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যম কর্মীদের। এ ছাড়া এক্সপার্ট ডিজাইনেও ঠিক আছে বলে দাবি করেছেন উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু।
তবে পাইপের গায়ের পুরুত্ব কেন মূছা,তাঁর কোন সদোত্তর নাই ওই কর্মকর্তার কাছে। এ দিকে কোটচাঁদপুরের সব গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে চ্যালেন্স ছূড়ে দিয়েছেন,উপজেলার সহউপসহকারী প্রকৌশলী হুজাইফা হক।
তিনি বলেন, আপনারা চাইলে এসএস পাইপ মেপে নেন। মাপলে পুরুত্ব ১.২ এর জায়গায় ১.৪ পাবেন।
এ দিকে গেল রবিবার একটি দৈনিক পত্রিকায় ওই সব প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ দিয়ে ঠিকাদারের পক্ষে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চালাচ্ছেন উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু,এমন অভিযোগ উঠেছে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুরের আফিয়া থাই গ্লাস হাউজের মালিক আরিফ হোসেন বলেন, আমি কেএসপি এসএস পাইপের কোটচাঁদপুরের ডিলার। ব্যবসায়িক জীবনে কোন পাইপের পুরুত্ব মুছা পাইপ পাইনি।
এ ছাড়া অন্যান্য পাইপের গায়েও দেখেছি পুরুত্ব খোদায় করে লেখা আছে। তিনি বলেন,আমার মনে হয় খারাপ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য,তারা হয়তো পাইপের গায়ের লেখা মূছে ফেলেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমার জানা মতে ওই কাজে প্রিয় নামে যে এসএস পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা সর্বনিম্নমানের পাইপ। এ ছাড়া এমন পাইপের নামটাও তিনি আগে কখনও শোনেনি বলে জানিয়েছেন।
এসএস পাইপের মিস্ত্রি বিপ্লব হোসেন,ওই গুলো কমা এসএস পাইপ। ওই সব পাইপে কোম্পানি কমিশন দেন ৩০/৪০ ভাগ। আর স্ট্রীলটেক,কেএসপি সহ ভাল পাইপে কমিশন দেন ১৫/১৭ ভাগ। তিনি বলেন, বেশি লাভ করতে ও খারাপ উদ্দেশ্যে কাজে ওই ধরনের পাইপ দিয়ে কাজ করেছেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন,পাইপের পুরত্ব(থ্রিটনেন্স) মাপার সময় আমার থাকার কথা ছিল। তবে কাজের ব্যস্ততায় থাকা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আবারও আশ্বস্ত করেছেন গণমাধ্যম কর্মীদের।
তবে তিনি এর আগে বলেছিলেন,বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারকে জানানো হয়েছে। প্রাক্কলনে যে পুরুত্ব আছে,সেটা দিবেন মর্মে ওনারা আমাকে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য,৬ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬শ ৬৩ টাকা ব্যয় নির্মিত হচ্ছে কোটচাঁদপুর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনটি। কাজটি শুরু হয়েছে গেল ২৫-০৫-২০২৩ তারিখে। কাজটি টেন্ডারে পান চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের জাকাউল্লা কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে কাজটি কিনে নেন মহেশপুরের মেসার্স মনিরুল আলম খান নামের আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
আর এভাবেই শেষ হতে চলেছে কোটচাঁদপুর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের কাজ। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন,এলাকাবাসী।