রোকনুজ্জামান, কোটচাঁদপুর
সরকার পরিবর্তনের পর থেকে কোটচাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হক মিঠু ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে করে পৌরসভার স্বাভাবিক কার্যক্রম দারুনভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!গত ১৮ আগষ্ট স্থানীয় সরকার পৌরসভা সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৪ এর ৩২ (ক) ধারা প্রয়োগ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পৌর মেয়রদের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। কিন্তু মেয়র পদ বিলুপ্ত হওয়ার আগেই কোটচাঁদপুর পৌরসভার কিছু কর্মচারীদের রোষানলে পড়েন নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হক মিঠু।
সেই থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। পৌর কর্মচারীদের অভিযোগ এনামুল হক গত দুই যুগ ধরে একই স্থানে চাকুরী করছেন। সেই সুযোগে তিনি বিগত মেয়রদের সাথে আতাত করে পৌরসভার মোটা অংকের টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন। যার ফলে কর্মচারীদের ৩৫-৪০ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ ঘটনায় পৌর কর্মচারীরা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেয়রদের উপর ক্ষুব্ধ। এদিকে সচিবের অনুপস্থিতিতে যাবতীয় আর্থিক লেনদেনসহ নাগরিক সেবা বিঘিন্নত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠো ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ও কোটচাঁদপুর পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত পৌর প্রশাসক আতিকুল মামুন বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হক মন্ত্রণালয়ে বদলীর আবেদন করে কর্মস্থলে আসছেন না।
তিনি না আসার কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানান। অপরদিকে ১নং প্যানেল মেয়র সোহেল আরমানও সরকার পরিবর্তনের পর থেকে পৌরসভায় আসছেন না।