বনি আমিন, কালীগঞ্জ:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে প্রাক্তন ছাত্রশিবির সমাবেশ-২০২৫ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকাল থেকে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত দলটির কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, ছিলেন মাওলানা আব্দুল হালিম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঝিনাইদহ জেলা আমির আলী আজম মো. আবু বক্কর এবং জেলা সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ থানা আমির আব্দুল হক মোল্লা, থানা সেক্রেটারি অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, কালীগঞ্জ পৌর আমির আব্দুল করিম, পৌর সেক্রেটারি হাসানুজ্জামান এবং সাবেক থানা সেক্রেটারি শহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি জনাব মাওলানা আব্দুল হালিম তাঁর বক্তব্যে বলেন, “একটি আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ছাত্রদের ভূমিকা অপরিসীম। প্রাক্তন ছাত্ররা নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা ব্যবহার করে জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। ইসলামের আলোকে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জন, চারিত্রিক গঠন এবং সামাজিক দায়িত্ব পালনে মনোনিবেশ করতে হবে। ছাত্রশিবির শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি একটি আন্দোলন, যার মাধ্যমে সমাজে ইসলামের চেতনা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। আমাদের লক্ষ্য হবে ছাত্রদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া এবং তাদের নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান করা।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সময়ে সমাজে অসত্য, অবিচার ও অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে ইসলামী আন্দোলনই একমাত্র পথ। ইসলামী আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা একটি কল্যাণমূলক সমাজ গঠন করতে পারি, যেখানে মানবতা, শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রাক্তন ছাত্ররা এ আন্দোলনের অন্যতম শক্তি, যারা তাদের কর্মক্ষেত্রে ইসলামের সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিতে পারবেন।”
প্রোগ্রামের শেষ অংশে উপস্থিত কর্মীদের মধ্যে থেকে একজন প্রশ্ন করেন, “বিএনপি কর্তৃক বিভিন্ন জায়গায় জামায়াতে ইসলামীর ওপর আক্রমণাত্মক আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা কী হবে?” প্রশ্নের জবাবে প্রধান অতিথি জনাব মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে বিএনপির প্রতি কোনো বিভাজন বা আক্রোশ নেই। তারা পূর্বে যেমন আমাদের বন্ধু দল ছিল, এখনো আমরা মনে করি তারা আমাদের বন্ধু প্রতিপক্ষ দল। তবে কোনো জুলুমবাজ বা স্বৈরাচারকে আমরা পূর্বেও ঘৃণা করেছি, এখনো ঘৃণা করি। আওয়ামী লীগকে আমরা আর কখনোই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে দেখতে চাই না। আমাদের লক্ষ্য একটি শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন।”
অনুষ্ঠানে বক্তারা প্রাক্তন ছাত্রদের মূল্যবান অবদানের কথা স্মরণ করে এবং তাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। আয়োজকরা জানান, সমাবেশে প্রাক্তন ছাত্রদের ব্যাপক অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সমাবেশের সফল আয়োজনের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান