ওয়ালিউল্লাহ, স্টাফ রিপোর্টার
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!ঝিনাইদহের শৈলকুপার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মনোয়ার হোসেন মালিথার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন অনেক মুক্তিযোদ্ধা।
মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদী ইসলামের নিকট লিখিত দরখাস্ত দেয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এস আই হাশেম রেজাসহ ৩৯ জন এতে স্বাক্ষর করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালে জেনিথ এবং রুপালী ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে ইন্সুরেন্স করার জন্য শৈলকুপা মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকে দুইটি কোম্পানীতে সর্বমোট ২৫৫ জনের বাধ্যতামূলক ইন্সুরেন্স করে। জন প্রতি যার বাৎসরিক কিস্তি ছিল ৮০০০/- টাকা। প্রথম কিস্তিতে প্রতি জন মুক্তিযোদ্ধার নিকট থেকে ৮০০০/- টাকা করে সর্বমোট ২০,৪০,০০০/- (বিশ লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা সে নিজে গ্রহণ করে। এভাবে পর পর দুই বছরের টাকা সর্বমোট ৪০,৮০,০০০/- (চল্লিশ লক্ষ আশি হাজার) টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু প্রত্যেকের এক নৎসবের প্রিমিয়াম উল্লেখিত কোম্পানীর নিকট জমা প্রদান করে। কিন্তু পরবর্তী বছরের ২০,৪০,০০০/- (বিশ লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা জমা না দিয়া নিজে আত্মসাৎ করে। এবং প্রথম বছরের জমা দিয়া প্রিমিয়াম থেকে সে ৪০% হারে ৮,১৬,০০০/- (আট লক্ষ ষোল হাজার) টাকা উল্লেখিত ইন্সুরেন্স কোম্পানীর নিকট থেকে লভ্যাংশ হিসাবে লাভ করে। পরবর্তীতে হিসাব করে দেখা যায় যে, তাহার লভ্যাংশ সহ ২৮,৫৬,০০০/- (আঠাশ লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার) টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট থেকে আত্মসাৎ করে। সে ২য় কিস্তি জমা না দেওয়ায় সকল ইন্সুরেন্সের সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদী ইসলাম ঝিনেদার কাগজ কে বলেন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের থেকে সাবেক কমান্ডার মনোয়ার হোসেন মালিথার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের একটি দরখাস্ত পেয়েছি, তদন্ত শেষে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে আপনাদের জানানো হবে।
এ ব্যাপারে মনোয়ার হোসেন মালিথার সাথে যোগাযোগ করা হলে, তার মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গত ৫ তারিখের পর থেকে তাকে শৈলকুপাতে দেখা যায়নি।