স্টাপ রিপোর্টার:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!রবিবার দুপুরে সাবেক আ’লীগ নেতা মোস্তাাফিজুর রহমান মোস্তাকের গ্রেফতারের জেরে শৈলকুপা থানায় হামলার প্রেক্ষিতে গুলিবিদ্ধ ফিরোজ শিকদারের ডান হাতটি কেটে ফেলতে হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ফিরোজ শিকদার, ধাওড়া গ্রামের কাশেম শিকদারের ছেলে। আহত ফিরোজ শিকদার বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারা অনেক চেষ্টা করেও টিকাতে পারেন ফিরোজের হাত।
এদিকে, শৈলকুপা থানা ভাংচুরের ঘটনায় ১১৫ জনসহ অজ্ঞাত নামা ৫শত লোকের নামে মামলা হয়েছে। এলাকায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
জানা যায়,শৈলকুপার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মতিয়ার রহমান বিশ্বাসের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ”লীগ নেতা মোস্তাাফিজুর রহমান মোস্তাকের সামাজিক দলাদলি ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তার জের ধরে ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের বন্দেখালী সহ কয়েকটি গ্রামে আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও বাড়ি ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মুস্তাাফিজুর রহমান মোস্তাকের নামে থানায় মামলা হলে পুলিশ রবিবার সাকালে ধাওড়া বাজার থেকে মুস্তাক শিকদার ও লাঙ্গল বাঁধ বাজার এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম নামের আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুই নেতা কে পুলিশ আটক করে । তার জের ধরে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়।
এসময় তারা থানায় হামলা করলে পুলিশ সদস্য সহ ৩০/৩৫ জনগুরুত্বর ভাবে আহত হয়। ইতিমধ্যে এই মামলায় ১৫জন কে আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান থানা ভাংচুর করায় পুলিশ বাদী হয়ে ১১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫শ জনের নামে শৈলকুপা থানায় একটি ভাঙচুর মামলা দায়ের করেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই মামলার ১৫ জন আসামি আটক করা হয়েছে।