ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নরদহী গ্রামের প্রায় অর্ধশত নারী গৃহস্থলীর কাজ করার পর বাড়তি কাজ হিসাবে বেচে নিয়েছেন পাঠখড়ি দিয়ে ফুল তৈরীর কাজ। প্রায় ২০ বছর আগে তোফায়েল আহমেদ নিজ উদ্যোগে শুরু করেন পাঠখড়ি দিয়ে ফুল তৈরীর কাজ। সেখান থেকে আজ তোফায়েল আহমেদের বাড়ি প্রায় অর্ধশত নারী শোলা দিয়ে ফুল তৈরী করেন। নারীদের তৈরী শোলার ফুল হাজার প্রতি ১২ শত টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার পর্যন্ত বিক্রয় হয়ে থাকে। পাঠখড়ি দিয়ে নারীরা শাপলা, লিলি, চন্দ্র মল্লিকা, বেলিসহ হরেক রকম ফুল তৈরী করছেন। এসব উপকরণ তৈরী করে নারীরা ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। নারীদের হাতে শোলা দিয়ে তৈরী ফুল গুলো “রিগ্যাল হ্যান্ডিক্রাফট এ্যান্ড ড্রাই ফ্লাইওয়ার ” নামে ঢাকার নিউমার্কেট, মিরপুর, কলাবাগানসহ একাধিক স্থানে বিক্রয় হচ্ছে ।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!শোলা দিয়ে ফুল তৈরী করা নারী সুমি আক্তার জানান, সংসারের কাজের পর বাড়তি সময়ে শোলার ফুল তৈরী করি।এখান থেকে উপার্জনের অর্থ সংসারের জন্য অনেকটা কাজে লাগে। এ কাজ করতে ভালও লাগে, সময় কেটে যায় ।
শোলা দিয়ে ফুল তৈরীর প্রথম উদ্যোগতা তোফায়েল আহমেদ জানান, প্রায় ২০ বছর আগে শোলা এখানকার বিলে পাওয়া গেলেও এখন আর পাওয়া যায়না। এখন ফরিদপুর ও খুলনা থেকে সংগ্রহ করতে হয়। এসব স্থান থেকে শোলা ক্রয় করে আনতে অনেক খরচ হয়ে যায়। সব মিলে সঠিক দাম পাওয়া কষ্ট হয়ে যায়। এখানে যদি রাষ্ট্রীয় সহায়তা পাওয়া যেত তবে আমাদের এ কাজ আরো গতিশীল হতো ।
পাঠখড়ি দিয়ে ফুল তৈরী করা নারীদের ব্যাপারে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন , কর্মজীবি মহিলারা যেন বসে সুন্দরভাবে কাজ করতে পারে এজন্য ওখানে একটি ওমেন্স সেন্টার করা হচ্ছে। এটা ডিসি স্যারের একটি উদ্যোগ। যদিও বাজেট কম, তবুও তাদের জন্য ভাল কিছু করার চেষ্টা করা হচ্ছে ।