মো. জাহাঙ্গীর আলম, কোটচাঁদপুর
কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়নের বলাবাড়ীয়া গ্রামের আবুল কালাম মেম্বারের বিচারবহির্ভূত হত্যার ১০ বছর পর পুলিশ সুপারসহ ১৯ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে ।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ আদালতে মামলাটি করেন নিহতের স্বজন।
মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন(চাকরিচ্যুত), এস আই মিজান, এ এস আই শিবু দত্তের আসামী করা হয়েছে।
এছাড়াও এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, মতিয়ার রহমান কালু, কাওছার আলী, বলুহর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আ. মতিন, সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের উপজেলা সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শরীফুন্নেছা মিকি, জহিরুল ইসলাম জহির, এনামুল, আ. রশিদ রবিউল ইসলাম রবি, রফিকুল ইসলাম মোংলা, মো. নজরুল ইসলাম, নাসির মেম্বার, মো. তারিকুল ইসলাম রিয়াল, কিবরিয়া, মজনুর রহমান মজনুকে আসামী করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামলার এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কোটচাঁদপুর মডেল থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
নিহতের ভাইপো জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয় আবুল কালাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ইউপি সদস্য হওয়ায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রকার অপকর্মের প্রতিবাদ করার কারণে আসামীগণ তার ক্ষতি করার জন্য পরিকল্পনা করে ও জীবন নাশের ষড়যন্ত্র করে এবং ২০১৪ সালের ১৮ই এপ্রিল শুক্রবার আনুমানিক সকাল ৯টার সময় নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে। গুড় পাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে হত্যার উদ্দেশ্যে নিয়ে গেলে বাদি এবং স্বাক্ষীগণের সন্দেহ হলে পুলিশ সেখান থেকে গোপালপুর ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সে সময় থানার ওসিকে অবহিত করলে তিনি আইনি সহযোগিতা করেন নাই। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন এবং ২১শে এপ্রিল সকাল আনুমানিক ৬ টার সময় মধুহাটি ইউনিয়নের মামুনশিয়া গ্রামের বকুল তলায় গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়।
সেসময় হত্যাকারীরা পুলিশের প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী হওয়ায় মামলা করার সাহস পায় নাই। ওই বিচারবহির্ভূত হত্যার কান্ডের ১০ বছর পর মামলা দায়ের করেছে তার পরিবার।