আব্দুল জব্বার, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ)
ঝিনাইদহে শৈলকুপায় নওমুসলিম পরিবারের মানবতার জীবন যাপন। জানা যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপার হাট ফাজিলপুর গ্রামের ওসমান গনির পরিবার সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!২০১৭ সালে স্বামী স্ত্রী তিন সন্তান ও এক নাতি ছেলে সহ ঝিনাইদহ কোর্টে এফিডেভিট এর মাধ্যমে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। বর্তমান অবস্থান ১১ নং আবারপুর ইউনিয়নের পাঁচ পাকিয়া গ্রামের পাউবর ক্যালানের ধারে। মো. ওসমান গনি যার পূর্ব নাম ছিল আনন্দ কুমার সরকার। স্ত্রী মোছা. রাবেয়া বসরী তার পূর্ব নাম ছিল দিপালী রানী সরকার। তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মো. ওয়ালিউল্লাহ যার পূর্ব নাম ছিল মঙ্গল কুমার সরকার । দ্বিতীয় পুত্র সুমন ইসলাম যার পূর্ব নাম ছিল দ্বীপ কুমার সরকার।
ছোট ছেলে মো. আব্দুল্লাহ যার পূর্ব নাম ছিল অন্তর কুমার সরকার। বড় ছেলের একটি ছেলে ছিল যার বর্তমান নাম ওমর ফারুক পূর্ব নাম ছিল বাঁধন কুমার সরকার। রাবেয়া বসরি জানান কোন একদিন আসরের সময় তাদের বাড়িতে একজন হুজুর আসে, সাদা পোশাক পরিহিত এই ব্যক্তিটি তাদের বাড়িতে আস এবং আসরের নামাজ পড়ার জন্য ওযুর পানি চাই । তারা তাকে অজুর পানি দেয় এবং তাদের ঘরের বারান্দায় একটু জায়গা আলোমাটি দিয়ে লেপে দেয়। সেখানে হুজুরটি নামাজ পড়ে, নামাজ পড়ে যখন চলে যায় সে সময় রাবেয়া বসরি তাকে জিজ্ঞেস করে হুজুর আপনি কোথা থেকে এসেছেন এবং কোথায় যাবেন। হুজুর তাকে বলে আমি নদীর উপর থেকে এসেছি এ বলে হুজুর চলে যায়।
পরক্ষণে রাবেয়া বসরি অনেক খোঁজাখুঁজি করে কিন্তু কোথাও তাকে পাই না। এরপর থেকে তার কানে নিয়মিত আল্লাহ কালিমার ধনী আসতে থাকে । সে এই বিষয়টি তার দাদিকে জানালে তার দাদি বলে তোরা খুব শীগ্রই মুসলমান হয়ে যাবি। তার কানে আসা এ ধনীটি যেন তার পরিবারের প্রত্যেকের কানে আসে এজন্য সে আল্লাহর নিকট সবার জন্য দোয়া করে।
তারপর থেকে তার পরিবারের প্রত্যেকের কানে একইভাবে আল্লাহর এই ধনী লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ এটি কানে বাচতে থাকে এবং একপর্যায়ে তারা সপরিবারে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়। এখন পরিবারটি আর্থিক সংকটে খুব কষ্টে দিনাতিপাত অতিবাহিত করছে। নেই তাদের মাথা গোজার ঠাই, একখণ্ড জমি তাই তাদের আকুতি সরকার অথবা কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি যদি তাদের একটু মাথা গোজার ঠাই করে দেন।