ডেস্ক রিপোর্ট
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারী,হাসপাতালের ঔষধ তার ব্যক্তিগত রয়েল হাসপাতালে ব্যবহার, হাসপাতালের বিভিন্ন সামগ্রী লুটপাট, এবং কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে মাদক গ্রহন ও কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহে গেলে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন তিনি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!এক পর্যায়ে তার গলায় থাকা ডাক্তারী কাজে ব্যবহারের জন্য স্টেথিসকোপ দিয়ে হামলা চালান,এতেও তিনি ক্ষান্ত হননি তার রয়েল ডায়াগনোস্টি সেন্টারের পোশা গুন্ডা বাহিনী দিয়ে দ্বিতীয় দফায় আক্রমন চালান। পরবর্তিতে এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল করে চাঁদাবাজির ট্যাগ লাগান সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ডা. রেজাউল নিজে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না হয়েও নিজের প্রেসক্রিপশন এবং ফাইল ফোল্ডারে লিখেছেন বক্ষব্যাধী ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, চেষ্ট মেডিসিন,এমএসিপি (আমেরিকা),বক্ষব্যাধী,এজমা ও ডায়াবেটিক রোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের একজন আবাসিক চিকিৎসক হওয়া সত্তেও অনেক ভূয়া ডিগ্রী জুড়ে দিয়ে রমরমা ডায়াগনস্টিক ব্যবসা করছেন। এই প্রতারক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করানোর কারনে অনেক রোগী মৃত্যু পথযাত্রী ।
আবার রোগীকে অকারণে বিভিন্ন পরিক্ষা-নিরিক্ষার ফাঁদে ফেলে সর্বশান্ত করছেন এই প্রতারক। বিগত ফ্যাসিস্ট পতিত সরকারের আমলে তার স্ত্রী ডাঃ গুলশান আরা ছিলেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আরএমও। তিনিও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা । এখন আবার ভোল পাল্টানোর চেষ্টা করছেন। কোন বৈধ কাগজ পত্র ছাড়াই শহরের হামদহ এলাকায় গড়ে তুলেছেন রয়েল হাসপাতাল এবং রয়েল ডায়গনোষ্টিত সেন্টার।
এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ও রয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতালের মালিক ডাঃ রেজাউল ইসলামের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে সাংবাদিক নাম শুনতে না শুনতেই তিনি বলেন আমি পরে কথা বলছি তার পর ফোন দিলেও তিনি আর রিসিভ করেন নি।
এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান,ডাঃ রেজাউল ইসলাম কোন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নন,তিনি যে আমেরিকার ডিগ্রী লেখেন তা এ দেশে কোন বৈধ ডিগ্রী নয়। তিনি হাসপাতালের একজন আবাসিক চিকিৎসক। তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীর কোন অভিযোগ আছে কিনা তার জানা নেই। তিনি বলেন সাংবাদিকদের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। ঝিনাইদহের পুলিশ সুপারের কাছেও সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে এতো অপকর্মের পরও ডাঃ রেজাউল সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী দিয়ে সাংবাদিকদের প্রাণনাশের হুমকী অব্যাহত রেখেছেন।
যে কারণে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে সাংবাদিক সংগঠন কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারি দেন।