ডেস্ক রিপোর্ট
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!কলকাতার নিউটাউনের ফ্ল্যাটে বাংলাদেশি সুপারি কিলারদের হাতে খুন হয়েছেন ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনোয়ার। খুনের নেপথ্যে মূল চক্রী হিসাবে অভিযোগের তির আজিমের বন্ধু তথা বাংলাদেশের ব্যবসায়ী আখতারুজ্জামান শাহিনের দিকে। সে টোপ হিসাবে ব্যবহার করে নিজেরই সুন্দরী বান্ধবী শিলাস্তি রহমানকে। বন্ধু সেজে সুপারি কিলাররাই আজিমকে নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসে। বাংলাদেশ পুলিশের কাছ থেকে সিআইডির গোয়েন্দারা জেনেছেন, গত ১৩ মে বিকেল চারটে নাগাদ শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় সাংসদ আজিমকে। এর পর শাহিনের নির্দেশেই তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়।
আখতারুজ্জামানের নির্দেশেই আরো ৪ বাংলাদেশিকে সঙ্গী করে সাংসদকে খুন’ করা হয়। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য খুনে হাড়হিম করা স্বীকারোক্তি কসাইয়ের।
কলকাতা সিআডির দাবি শ্বাসরোধ করে খুনের পর গোটা শরীরের চামড়া ছাড়িয়ে নেয় আততায়ীরা। এ কাজের জন্য মুম্বাই থেকে আনা হয়েছিল কসাই। এরপর কুচি কুচি করে কাটা হয় গোটা শরীরের হাড্ডিসহ মাংস। ‘এরপরে মাংস ও হাড়ের টুকরো প্লাস্টিক ব্যাগে নিয়ে বেরিয়ে যায় আততায়ীরা’। ফেলে দেওয়া হয় কলকাতার বিভিন্ন এলাকায়’।
কলকাতার বনগাঁ থেকে জুবের ওরফে জিহাদ নামে কষাইকে গ্রেফতার করে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য দিচ্ছে সিআইডি। ‘খুনের পর প্রমাণ লোপাটে মুম্বাই থেকে আনা হয়েছিল খুলনার সাবেক এ বাসিন্দা কষাইকে’। এমপি আনার হত্যার খুনের মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান ২ মাস আগেই মুম্বাই থেকে এ কষাইকে নিয়ে আসছেন’। ‘ দেহাংশের খোঁজে ভাঙড়ে তল্লাশি, কিছুই না পেয়ে ফিরতে হল পুলিশকে। কিন্তু কেন এত নৃশংসভাবে ঝিনাইদহের সাংসদকে খুন? এখনও রহস্য। ঢাকা পুলিশের হাতে আরও ৩জন ধরা পড়লেও ফেরার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড।
বৃহস্পতিবার সিআইডি জিহাদ হাওলাদার (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা এই জিহাদই সাংসদকে খুনের পর টুকরো টুকরো করেছিল। সিআইডি সূত্রে খবর, জিহাদ একজন কসাই। এই কাজের জন্য মুম্বই থেকে তাকে আনা হয়। আখতারুজ্জামান দু’মাস আগেই জিহাদকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল। সিআইডি সূত্রে খবর, জিহাদ জেরায় স্বীকার করেছে সে ও আরও চারজন বাংলাদেশি নাগরিক মিলে সাংসদকে নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে খুন করে।