বনি আমিন, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ও রাতে সংঘটিত এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫টি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!স্থানীয় পুলিশ ও এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সুবেদুর রহমান এবং ঘোড়শাল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইসাহাক আলী মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত কয়েকদিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করে।
বৃহস্পতিবার রাতে ইসাহাক আলীর সমর্থকরা সুবেদুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর জেরে শুক্রবার ভোরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ানোর প্রস্তুতি নেয়।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নারকেলবাড়িয়া বাজারে উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। এ সময় বাড়িঘর ও দোকানপাটে ব্যাপক ভাঙচুর এবং লুটপাট চালানো হয়। উভয় পক্ষের অন্তত ১৫টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার (ওসি) জানান, এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
সংঘর্ষের পর থেকে পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে