সদর, ঝিনাইদহ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামে কোদালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টির নির্মাণ কাজ শেষ করে ভবনটি ঈদের কয়েকদিন পূর্বে হস্তান্তর করেছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষকে।
হস্তান্তর করার পরে কয়েকদিন যেতে না যেতেই খসে পডছে বিদ্যালয়ে প্রবেশের প্রধান গেটটি। শুধু গেট নয় একটি ফ্যান ও চলা বন্ধ হয়ে গেছে। এই ভাবেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিদ্যালয়টি।
এই বিদ্যালয়টি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা। এবং এর প্রধান তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠান হল স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ যে এই বিদ্যালয়টি নির্মাণ বরাদ্দের টাকা ঠিকাদার এবং উপজেলা প্রকৌশলী আহাজান হাবিব দুইজনে মিলে ভাগ করে খেয়ে বিদ্যালয় তৈরি করেছেন।
কারণে দুদিন যেতে না যেতেই বিদ্যালয়টির গেট সহ ব্যবহারের বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার এলজিইডি প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিবের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি উল্টো দোষারোপ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্কুলের বাচ্চাদের। তিনি বলেন যে আপনার তো গেট ভেঙ্গে গেছে শুধু সেটা দেখলেন এই গেট ধরে যে বাচ্চারা ঝুলাঝূলি করে সেটা আপনারা দেখেন না।
তখন প্রকৌশলীকে আরও জিজ্ঞাসা করা হয় যে শিশু বাচ্চারা তো ঝুলাঝুলি করবেই সেই মোতাবেক আপনারা পরিকল্পনা করে কেন তৈরি করেননি? সরকারি কাজ বলে কি এই ভাবেই করবেন? তখন বলেন আপনি কয়টা ডিজাইন করেছেন যে আপনি এভাবে কথা বলছেন?
আপনাদের কাছে এই কাজ করতে দিলে আপনার তো পুরো টাকায় খেয়ে ফেলতেন। তবে আপনি যেহেতু বলছেন আমি বিষয়টা দেখছি? তবে যেভাবে বলছেন সেভাবে হলে দেখব না বলে তিনি জানিয়ে দেন।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব ঠিকাদারদের নিকট থেকে বিভিন্নভাবে ঘুষ গ্রহণ করে নিম্নমানের কাজের প্রধান সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করেন। যার কারনে কোন কাজের বিষয়ে তার কাছে জিজ্ঞাসা করলে সে সাধারণত ঠিকাদারদের পক্ষ নিয়েই কথা বলেন।
সেই সাথে বলেন যে এলজিইডি অফিস খুব ভালোভাবে কাজ দেখাশোনা করে এই অফিসে কোন দুর্নীতি হয় না।