ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহরাজপুর ইউনিয়নের কুলবাড়িয়া গ্রামের ফজল মন্ডলের জমি থেকে মাটি কেটে অবৈধভাবে মাটির ব্যবসা করে আসছে কুলবাড়িয়া গ্রামের শাহজুল হোসেন ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কৃষি জমি ধ্বংস করে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে মাটি ও বালি উত্তোলন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে মাটি খেকোরা।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!যার ফলে এলাকার রাস্তাঘাট নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ট্রাক্টরের বিকট শব্দে শব্দদূষন এবং ধূলাবালিতে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। রাতে মাটি কাটার ফলে গাড়ির শব্দে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়া সহ ঘুমাতে পারছেনা এমন অভিযোগ হরহামেশাই করে আসছিল ভূক্তভোগী লোকজন।
এলাকার মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী মহারাজপুর ইউনিয়নের ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ফকরুল ইসলামকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। ভূমি কর্মকর্তা ফকরুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুর ২ টার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাটিকাটা অবস্থায় ৮ টি ট্রাক্টর ও একটি ভেপু পায় এবং সেগুলো জব্দ করা সহ মামলা দেওয়ার আদেশ দেন।
এসময় গাড়ির ড্রাইভার এবং মাটি ব্যবসায়ী কুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত আকবার আলীর ছেলে শাহাজুল ও জমির মালিক শের আলীর ছেলে ফজল পুলিশ সাংবাদিক এবং ভূমি কর্মকর্তার উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।ঘটনাস্থলে উপস্থিত নলডাঙ্গা ফাড়ির ক্যাম্প ইনচার্জ মোজলেম তালুকদার গাড়ির ব্যাটারি এবং গাড়ি জব্দ করে ঝিনাইদহ সদর থানায় সোপর্দ করে। ভূমি – উপ সহকারী কর্মকর্তা ফকরুল ইসলাম বাদী হয়ে অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী ফজল এবং শাহজুলকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে বলে জানা যায়।