ঝিনেদার কাগজ || Jhenedar kagoj || সত্যের আলোয় সুন্দর

২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঝিনাইদহে পীর সাহেব চরমোনাই: নেতা নয় নীতি ও আদর্শের পরিবর্তনে ইনসাফ কায়েম হবে

নেতা নয় নীতি ও আদর্শের পরিবর্তনে ইনসাফ কায়েম হবে

সাইফুল ইসলাম, ঝিনাইদহ

বার বার নেতা পরিবর্তন না করে নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে আমাদের বার বার রক্ত দিতে হবে। নেতা পরিবর্তনের মাধ্যমে কখনো শান্তি ও বৈষম্য আসতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম পীর সাহেব চরমোনাই।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

তিনি বলেন, দেশ স্বধীনের ৫৩ বছর এ দেশের মানুষ বহুবার রক্ত দিয়েছে, আন্দোলন করেছে কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। দেশে ন্যায় বিচার ও ইনসাফ কায়েম হয়নি। নিজে পরিবর্তন হয়ে, দেশ পরিবর্তন করতে হবে। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বুধবার বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত এক গনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। ছাত্র-জনতার উপর গণহত্যায় জড়িতদের বিচার, হতাহতদের ক্ষতি পুরণ, দুর্নীতিবাজদের বিচার ও নির্বাচন কমিশন পুণর্গঠনসহ ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই গণসমাবেশের আয়োজন করে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ডা. এইচ এম মোমতাজুল করীমের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আহমদ আব্দুল জলিল, ঝিনাইদহ জেলা সেক্রেটারি প্রভাষক মাওলানা শিহাব উদ্দীন, আলহাজ¦ ক্কারী ওমর আলী, মুহাম্মদ রায়হান উদ্দীন, মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, মাওলানা নিজাম উদ্দীন মুন্সি মাুলানা মিরাজ হুসাইন, মুফতি নাজির আহম্মেদ, মুফতি মুহাম্মাদ আলী হুসাইন, মাওলানা শহীদুল ইসলাম, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মুহাম্মদ ফারুক হোসেন ও এইচ এম নাঈম মাহমুদ বক্তব্য রাখবেন।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, এই ভুখন্ড মুসলমানরা শাসন করেছে। কিন্তু কিছু মুনাফেকদের কারণে আমরা পরাজিত হয়েছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সে সময় দিল্লীর ষড়যন্ত্রে ৮০ হাজার মাদ্রাসা ধ্বংস করা হয়েছে। আলেমদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। হাজার হাজার আলেম হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন বৃটিশরা যখন দিল্লী দখল করেছিল, তখন ওলী আওলিয়ারা আন্দোলন করে তাদের এই ভুখন্ড থেকে তাদের বিতাড়িত করেছিল। কিন্তু মুসলমানরা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক অবস্থান পায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হিন্দু জমিদাররা বিশেষ করে রবি ঠাকুর চিঠি লিখে ৪১ বার বাঁধা দিয়েছিল। তারপরও নবাব স্যার সলিমুল্লাহ (রা.) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিল। যখন রক্ত দিয়ে মুসলমানরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিল আর সেই মুসলমানদেরকে বলা হয় সাম্প্রদায়িক। তিনি বলেন এই উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে মুসলমানরা রক্ত দিয়ে অবদান রেখেছে। তাই এই দেশ মুসলমানদের হলেও অধিকার সবার।

তিনি বলেন, পাকিস্তান গঠনের মাধ্যমে মুসলিমদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়। সেই পাকিস্তান গঠনেও নেতৃত্ব দিয়েছিল মুসলমানরা। তিনি বলেন পাকিস্থান সৃষ্টির পর পুর্ব পাকিস্থানের মানুষ আবারো বৈষম্যের শিকার হতে থাকেন। দেশের মানুষ আবারো যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিকতা, ন্যায় বিচার ও সামাজিক মর্যাদা। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর ৭২ সালের সংবিধানে মুলনীতি হিসেবে গনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মতো কুফরি মতবাদ চাপিয়ে দেয় ভারত। ভারতের প্রেসক্রিপশনে সংবিধান লেখা হয়। ফলে দেশের মানুষ সাম্য ও ন্যায় বিচরার থেকে বঞ্চিত হতে থাকে।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা এই দেশটা লুটপাট করেছে। তার মন্ত্রী, এমপি ও সাধাারণ নেতাকর্মীরা শত নয়, হাজার নয়, লাখ লাখ কোটি টাকার মালিক। যে দেশে শেখ হাসিনার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়, পিয়ন হেলিকপ্টারে ঘোরে, ফরিদপুরের ছাত্রলীগ নেতা দুই হাজার কোটি পাচার করে, মন্ত্রীরা কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি করে, বিদেশে ভুমি মন্ত্রির হাজার হাজার কোটি টাকার বাড়ি পাওয়া যায় সেদেশের অর্থনীতির আর কি অবশিষ্ট্য থাকতে পারে ? তিনি বলেন, হাসিনার আমলে যুবলীগ নেতা স¤্রাট সিঙ্গাপুরে কেসিনো খেলে ২০০ কোটি টাকা হারে, ১৪ কোটি লাখ টাকা পাচার করা হয়, ৯৮ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয় এটাই কি দেশের মানুষ চেয়েছিল ?

তিনি বলেন, যারা আ’লীগ করে তাদের জন্য সাত খুন মাফ হবে এটা সাম্যতা হতে পারে না। এ জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করিনি। তিনি বলেন আমরা মুসলিমলীগ দেখেছি, আ’লীগ দেখেছি, জাতীয় পার্টি দেখেছি, বিএনপি দেখেছি। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে দেখিনি। তাই আসুন দেশে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হলে, ঘুষ দুর্নীতি ও কালো টাকার নির্বাচন বন্ধ করতে হলে সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন চাই। তিনি বলেন, দেশে যদি কেউ মডারেট ইসলাম কায়েম করতে চাই, সে বেঈমান হয়ে যাব। দেশে কারো মনগড়া ইসলাম কায়েম করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, গত ৫ আগষ্টের পর দেশব্যাপী যারা লুটপাট, চাঁদাবাজী ও দখলদারিত্ব কায়েম করেছে তাদের প্রত্যাখান করতে জনগনকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পরে তিনি দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন।

আরও পড়ুন

মিয়ানমারে লড়াইয়ের জন্য জড়ো হচ্ছে রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারে লড়াইয়ের জন্য জড়ো হচ্ছে রোহিঙ্গারা

অনুবাদ রয়টার্স থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী বসতিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস। ২০১৭ সালে বৌদ্ধ অধ্যুষিত মায়ানমার সরকার দেশটির

যবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. এম মজিদের সংবর্ধণা কমিটির প্রস্তুতি সভা

হরিণাকুণ্ডুতে যবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. এম মজিদের সংবর্ধণা কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

হরিনাকুণ্ড প্রতিনিধি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর বরেণ্য শিক্ষাবীদ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সলর অধ্যাপক ড. এমএ মজিদের সংবর্ধনা প্রদান কমিটির

মানুষের ভোটার অধিকার হরণ

‘মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি’

মোস্তাফিজুর রহমান, কোটচাঁদপুর মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি। ধর্ষণ সেঞ্চুরি করে উল্লাস করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি।

দরিদ্র মেধাবী ছাত্র নীরবের পাশে মানবতার হাত

দরিদ্র মেধাবী ছাত্র নীরবের পাশে মাও. আবু তালেব

বনি আমিন, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) ঝিনাইদহের মঙ্গলপৈতা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র সালমান ইসলাম নীরবের পড়াশোনার পথে দীর্ঘদিনের আর্থিক

কপ২৯: বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেল দরিদ্র দেশগুলো

কপ২৯: বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেল দরিদ্র দেশগুলো

ডেস্ক রিপোর্ট দীর্ঘ দর-কষাকষির পর সমঝোতায় পৌঁছেছে কপ২৯। বিশ্বের ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, জলবায়ু সংকটের ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোকে অভিযোজন