ডেস্ক রিপোর্ট
টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভাধীন উত্তরা আবাসিক এলাকার জামাত নেতা আব্দুল খালেকের ক্রয়কৃত ১০শতাংশ জমির উপর টিনশেড বিল্ডিং করা বাসা বিগত ৭ বছর যাবত জোরপুর্বক বেদখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!ভুক্তভোগী জামাত নেতা আব্দুল খালেক জানান, ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৯টার দিকে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার আলম খান আবুর প্রভাব খাঁটিয়ে তার পরিষদের ড্রাইভার বাচ্চু মিয়া অস্ত্রধারী আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমার বাসার সমস্ত কিছু লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে স্ব-পরিবারে বাসা থেকে বের করে দেয়।
ভুক্তভোগী আব্দুল খালেক বলেন, তৎকালীন আওয়ামী সরকারের আমলে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে আমি কোনো ন্যায় বিচার পাইনি। উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবুর কাছে বারবার গিয়েও কোন বিচার পাইনি। তিনি আমাকে বলেন, এটা কোনো বাসাবাড়ী নয়, জামাতের অফিস। মধুপুরের কোথাও কোনো জামাতের অফিস করতে দেওয়া হবেনা। আজ থেকে এই বাসা আমাদের দখলে থাকবে।
এ বিষয়ে তৎসময় জেলা প্রশাসকের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আমি একটি লিখিত অভিযোগ করি। সে অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করেন কিন্তু অদৃশ্য কারনে তিনি কালক্ষেপণ করতে থাকেন। আমার ক্রয়কৃত জমির উপর করা বাসা থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের জন্য প্রশাসনের কাছে যাওয়ার কারণে বাচ্চু তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে মেরে গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আমি ভয়ে মধুপুর থেকে পালিয়ে দেশের বাহিরে চলে যাই।
তিনি বলেন, আমার সমস্ত দলিলপত্র পর্ষবেক্ষণ করে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) সিফাত আনজুম পিয়া জমির প্রকৃত মালিক আব্দুল খালেক এই মর্মে একটি লিখিত আদেশ প্রদান করেন কিন্তু অবৈধ দখলদার বাচ্চু মিয়া প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে জোরপুর্বক এখনও আমার বাসা দখল করে আছে। আমি প্রশাসনের কাছে এ-ই অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।