ডেস্ক রিপোর্ট
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!ঋণের ধরন ও শর্ত নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত চীনের সঙ্গে ঋণের চুক্তি হয়নি। চীন চেয়েছিল, বাণিজ্য সহায়তা (ট্রেড ফ্যাসিলিটি) হিসেবে ঋণ দিতে। কিন্তু এ ধরনের ঋণের সুদের হার বেশি থাকে এবং ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ১৫-২০ বছর। এতে ঋণ পরিশোধে চাপ বাড়বে।
অন্যদিকে বাজেট সহায়তা হিসেবে পেলে সুদের হার কম এবং পরিশোধের মেয়াদ বেশি হয়। ঋণ পরিশোধের চাপ কম থাকে। যেকোনো খাতে এই অর্থ ব্যবহার করা যায়। ঋণ অনুমোদনের পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে পুরো অর্থ পাওয়া যায়।
চীন বাংলাদেশের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার। ফলে ঋণটি পেলে চীনের আমদানি বিল চীনা মুদ্রায় পরিশোধ করার সুযোগ হতো, এতে রিজার্ভ থেকে ডলার কম বের হতো। তবে বিষয়টি এখনো শেষ হয়ে যায়নি। পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য চীনের একটি কারিগরি দল শিগগিরই বাংলাদেশে আসছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যঘাটতি প্রায় ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার বেশি। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের পুরোটাই ডলারে পরিশোধ করতে হয়।
বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিকল্প উপায় হিসেবে ডলারের খোঁজে সরকার। এক-দেড় বছর ধরে ডলার প্রাপ্তির প্রধান উৎস রপ্তানি আয়, প্রবাসী আয় ও উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশি ঋণ। বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ খুবই কম। ফলে ঘাটতি মেটাতে বাজেট সহায়তার দিকেই বেশি মনোযোগী ছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। তারপরও গত এক বছরে রিজার্ভ কমেছে ১ হাজার কোটি বা ১০ বিলিয়ন ডলার। মূলত প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয়ে শ্লথগতি এবং বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়ে যাওয়ার কারণেই রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়েছে।
এ অবস্থায় ডলার খরচের চাপ কমাতে চীনের কাছ থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ইউয়ান ঋণ চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চীনের ঋণের উদ্যোগটি আপাতত আলোর মুখ দেখেনি। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে এ নিয়ে একটি ইতিবাচক ঘোষণার প্রত্যাশা ছিল। এ জন্য দুই পক্ষের মধ্যে দুই মাস ধরে দর-কষাকষি চলছিল। প্রধানমন্ত্রীর সফরে আলোচিত এই ঋণের বিষয়ে ঘোষণা না থাকায় রিজার্ভ ধরে রাখার সমস্যা আপাতত থেকেই গেল। ফলে বাজেট সহায়তা পাওয়ার ভরসা এখন বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাইকা, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি)।