মেজবাউর রহমান
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই শতাধিক তরুণ সাংবাদিকদের নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো মিডিয়া সামিট-২০২৪।
শনিবার (১৮ মে) সেন্টার ফর অ্যাডভান্স মিডিয়া এডুকেশন এর আয়োজনে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে এ সামিটটি অনুষ্ঠিত হয়।
তরুণদের মধ্যে সাংবাদিকতা পেশাকে অনুপ্রেরণাদায়ক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘Whoever controls the media controls the mind’ স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয় এই সামিট।
সামিটটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।
সেন্টার ফর এডভান্সড মিডিয়া এডুকেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর প্লাবন তারিকের সভাপতিত্বে সামিটে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এএফপির বাংলাদেশের ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিডিয়া স্টাডিজ এন্ড জার্নালিজম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শেখ মুহাম্মদ শফিউল ইসলাম, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মারিও হায়ার্সটেইন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক আবু সাদাত মো. মো. মুসতানসির বিল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, গণতন্ত্রের তিনটি স্তম্ভ আইন, নির্বাহী ও বিচার বিভাগ পরে চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে স্বাধীন গণমাধ্যমকে গণ্য করা হয়। একটি দেশে গণতন্ত্রের শাসন বিদ্যমান কি না সেটা এই চারটি স্তম্ভ তাদের কাজ স্বাধীনভাবে করতে পারার উপর নির্ভর করে। তাছাড়া একটি দেশের আইন, নির্বাহী ও বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে তাদের কাজ যথাযথভাবে করতে পারছে কিনা সেটা সেই দেশের গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশ হয়। গণমাধ্যম যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে তাহলে অন্যান্য স্তম্ভগুলোর কাজও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হতে বাধ্য। তাই আমাদেরকে গণমাধ্যমের শক্তিশালী ভিত্তি রচনা করে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে আমাদের তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শফিকুল আলম বলেন, এমন বিষয় আছে যা আমাদের দেশের মানুষের কাছে সংবাদ মূল্য রাখে না কিন্তু বাইরের দেশের মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই যারা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছুক তাদেরকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
এছাড়াও এ আয়োজনে স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল২৪ এর বিশেষ প্রতিবেদক মাকসুদ-উন-নবী, দৈনিক কালবেলার অনলাইন বিভাগের সম্পাদক পলাশ মাহমুদ, ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চিফ রিপোর্টার আব্বাস উদ্দিন নয়ন। এসময় তারা টেলিভিশন, মাল্টিমিডিয়া ও ব্যবসায় সাংবাদিকতার উপরে ক্লাস নেন।