ঝিনেদার কাগজ || Jhenedar kagoj || সত্যের আলোয় সুন্দর

২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন : মার্কিন থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক

দিল্লিতে শেখ হাসিনা ও ভারতের আশ্রয়প্রার্থী নীতি দিল্লিতে শেখ হাসিনা ও ভারতের আশ্রয়প্রার্থী নীতি

ডেস্ক রিপোর্ট

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

যুক্তরাষ্ট্রের একটি থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক বলেছে, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মার্কিন কর্মকর্তাদের স্বীকৃতি ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি লাভের পর দেশ পরিচালনায় যাত্রা মসৃণ হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের ভূমিধস বিজয়ের পর কিছু সমালোচক সতর্ক করেছিলেন, বাংলাদেশ কার্যকর একদলীয় শাসনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসনে জয়ী হয়েছে এবং এর অনুগত স্বতন্ত্ররা আরও ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছে। তারা যুক্তি দিয়েছিল সংসদে কোনও অর্থবহ বিরোধী দল নেই।

গত ৮ এপ্রিল ‘আটলান্টিক কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে’ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে ভারতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি গৌতম লাহিড়ী লিখেছেন, মার্কিন সরকারের সমর্থন ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি লাভের সাথে সাথে ‘হাসিনার সরকার পরিচালনার জাহাজটি এখন মসৃণ সমুদ্রে যাত্রা করছে।’

লাহিড়ী বাংলাদেশের ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে একজন স্বাধীন বিদেশী পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করেছিলেন। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার এবং পঞ্চম মেয়াদে সরকার গঠন করে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন মহিলা সরকার প্রধান হিসেবে আর্বিভূত হন।

লাহিড়ী উল্লেখ করেছেন, ‘জানুয়ারিতে তাঁর দলের জয় এই অঞ্চলের প্রায় সব মহলেরই প্রশংসা কুড়িয়েছে। শেখ হাসিনা একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি চীন ও ভারত উভয়েই তাঁর নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন দিয়েছিল। আঞ্চলিক শক্তি, মতাদর্শগত এবং রাজনৈতিক ঝোঁক নির্বিশেষে তাঁর প্রশাসনকে অভিনন্দন জানাতে ছুটে এসেছে।’

লাহিড়ী লিখেছেন, যাই হোক আওয়ামী লীগ সরকারের বেশিরভাগ দৃষ্টি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। এটি বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্র’ প্রচারের জন্য কতটা সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করেছে তা দেখে। ‘যদিও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছিল যে, নির্বাচনগুলো অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না। মার্কিন কর্মকর্তারা নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং এগিয়ে যাওয়ার সাথে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’

তিনি বলেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার মিত্ররা নির্বাচন বর্জন করলেও সব বিরোধী দল তা অনুসরণ করেনি। ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৭টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং সেই সাথে প্রায় ১ হাজার ৯শ’ স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছিল।

অফিসিয়াল ভোটার (৪১.৮ শতাংশ) গত নির্বাচনের তুলনায় কম ছিল কিন্তু অভূতপূর্ব কম নয়। কেউ কেউ এই কম ভোটারকে একটি ইঙ্গিত হিসাবে দেখেন যে বিরোধীদের বয়কট জনগণের মনোভাব প্রতিফলিত করে। তিনি বলেন,বিএনপির বয়কট কিছু ভোটারদের উপস্থিতি কমিয়ে দিয়েছে তবে এটি অগত্যা জনগণের ভোট প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত বহন করে না।

ভোটের দৌড়ে, বিএনপির নির্বাচন বিরোধী বিক্ষোভ সহিংসতায় পরিণত হয়। শতাধিক গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির অনুগতদের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোটের আগের দিন দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল-অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। অগ্নিসংযোগকারীরা ভোটকেন্দ্র এবং একটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং চারজন নিহত হয়।

‘আতঙ্কের এই বিরাজমান পরিস্থিতিতে কিছু ভোটারকে নির্বাচনের দিন বাড়িতেই অবস্থান করতে হয়েছে।

আওয়ামী লীগের ভূমিধস বিজয়ের পর কিছু সমালোচক সতর্ক করেছেন যে, বাংলাদেশ কার্যকরভাবে একদলীয় শাসনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ২২৩টি আসনে জয়ী হয়েছে এবং এর অনুগত স্বতন্ত্ররা আরও ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছে। তারা যুক্তি দিয়েছিল যে, সংসদে কোনও অর্থবহ বিরোধী দল নেই।

তিনি বিপুল সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থীর দিকে ইঙ্গিত করে উল্লেখ করেছেন দলের সিনিয়র ব্যক্তিদের স্বতন্ত্র হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দিয়ে, আওয়ামী লীগ অবশ্যই সম্ভাব্য অন্তর্দলীয় বিরোধের ঝুঁকি নিয়েছিল। ‘তবুও, এটি ভোটারদের প্রকৃত নির্বাচনী বিকল্প প্রদান এবং সংসদে কণ্ঠস্বরের বৈচিত্রকে প্রসারিত করাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি অপ্রতিরোধ্য সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা একটি দল একদলীয় রাষ্ট্রের সমতুল্য নয়। বাংলাদেশকে একদলীয় রাষ্ট্র না বানিয়ে অতীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একই রকমের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।

একইভাবে ভারত ও জাপান বহুদলীয় গণতন্ত্রের কাছে না হারিয়ে একদলীয় আধিপত্যের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। প্রধান প্রশ্ন হল আওয়ামী লীগ এই অতি সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদের আয়োজন করেছিল নাকি বিএনপির নির্বাচন বয়কটের কারণে এটি অনিবার্য পরিণতি ছিল।

লাহিড়ী বলেন, পর্যবেক্ষকদের জিজ্ঞাসা করা উচিত ছিল কেন বিএনপি নির্বাচন বয়কট করেছে।

তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার কোনো নজির নেই বলে বিএনপির দাবিকে অভিহিত করা হলেও, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবির এখনও ভিত্তি নেই।
বয়কট শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সাহায্য করেছিল।

‘বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট অনুসরণ করার চেয়ে তত্ত্বাবধায়ক শাসনের মধ্যে একটি সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরির বিষয়ে উচ্চতর আশা করেছিল। এই আত্মঘাতি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিএনপি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।’

আরও পড়ুন

মিয়ানমারে লড়াইয়ের জন্য জড়ো হচ্ছে রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারে লড়াইয়ের জন্য জড়ো হচ্ছে রোহিঙ্গারা

অনুবাদ রয়টার্স থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী বসতিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস। ২০১৭ সালে বৌদ্ধ অধ্যুষিত মায়ানমার সরকার দেশটির

যবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. এম মজিদের সংবর্ধণা কমিটির প্রস্তুতি সভা

হরিণাকুণ্ডুতে যবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. এম মজিদের সংবর্ধণা কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

হরিনাকুণ্ড প্রতিনিধি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর বরেণ্য শিক্ষাবীদ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সলর অধ্যাপক ড. এমএ মজিদের সংবর্ধনা প্রদান কমিটির

মানুষের ভোটার অধিকার হরণ

‘মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি’

মোস্তাফিজুর রহমান, কোটচাঁদপুর মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি। ধর্ষণ সেঞ্চুরি করে উল্লাস করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি।

দরিদ্র মেধাবী ছাত্র নীরবের পাশে মানবতার হাত

দরিদ্র মেধাবী ছাত্র নীরবের পাশে মাও. আবু তালেব

বনি আমিন, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) ঝিনাইদহের মঙ্গলপৈতা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র সালমান ইসলাম নীরবের পড়াশোনার পথে দীর্ঘদিনের আর্থিক

কপ২৯: বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেল দরিদ্র দেশগুলো

কপ২৯: বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেল দরিদ্র দেশগুলো

ডেস্ক রিপোর্ট দীর্ঘ দর-কষাকষির পর সমঝোতায় পৌঁছেছে কপ২৯। বিশ্বের ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, জলবায়ু সংকটের ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোকে অভিযোজন

সিইসি ও চার কমিশনার শপথ নিলেন

সিইসি ও চার কমিশনার শপথ নিলেন

ডেস্ক রিপোর্ট নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও চারজন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শপথ নিয়েছেন।Thank you