ডেস্ক রিপোর্ট
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো সহজ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তি করেছে যুক্তরাজ্য। চুক্তির আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন খারিজ হয়েছে, যাঁরা বিদেশি অপরাধী ও যাঁদের ভিসার বৈধ মেয়াদ অতিবাহিত হয়ে গেছে, তাঁদের ‘ফাস্ট-ট্রাক’(দ্রুত) পদ্ধতিতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
চলতি সপ্তাহে লন্ডনে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তিটি হয়। অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার জন্য শক্ত প্রমাণ রয়েছে—এমন ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক সাক্ষাৎকার ছাড়াই তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে চুক্তিটি।
গত বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি ছাত্র, ভ্রমণ বা কাজের ভিসায় যুক্তরাজ্য এসে এখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আশ্রয়ের আবেদন করেন। এসব আবেদনের ৯৫ শতাংশ খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। আবেদন খারিজ হওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের এখন নতুন চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বলেছেন, অবৈধভাবে লোকজনের এখানে আসা ও থাকা ঠেকাতে তাঁদের পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ অপসারণ ত্বরান্বিত করা। যুক্তরাজ্যের একটি মূল্যবান অংশীদার বাংলাদেশ। এটা একটা চমৎকার ব্যাপার যে এই বিষয়সহ অন্যান্য ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁরা সম্পর্ক জোরদার করছেন।
চলতি সপ্তাহে লন্ডনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্রবিষয়ক যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ প্রথম যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে চুক্তির ব্যাপারে দুই দেশ সম্মত হয়। ওয়ার্কিং গ্রুপে উভয় দেশ অংশীদারত্ব জোরদারে অঙ্গীকার করে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিষয়ে সহযোগিতা জোরালো করতে প্রতিশ্রুতি দেয়।
ওয়ার্কিং গ্রুপ বিদ্যমান ভিসা রুটগুলোর মাধ্যমে বৈধ অভিবাসনের সুবিধা অব্যাহত রাখা, অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলা, তথ্য ভাগাভাগি জোরদার করা, গুরুতর সংগঠিত অপরাধ মোকাবিলায় নিজ নিজ পন্থা সম্পর্কে পরস্পরের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়ানোর ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়।