ডেস্ক রিপোর্ট
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধই জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অহংকার’ শীর্ষক সমাবেশে ‘জাতীয় ঐক্যের পরিবেশ বিনষ্টকারী’ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুসলেহ উদ্দিন।
বিবৃতিতে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “তাদের এই বক্তব্যে আমরা বিস্মিত ও হতবাক হয়েছি। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আধিপত্যবাদী শক্তি ও তাদের দোসররা ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও ইসলামী দল সম্পর্কে যেসব গণবিরোধী বয়ান দিয়ে দেশ ও জাতিকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বক্তব্যে সেই সুরই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। আধিপত্যবাদী শক্তির বিদায়ের পর যদি কোনো রাজনৈতিক নেতারা এসব বক্তব্য টেনে এনে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালান এবং আধিপত্য ও ফ্যাসিবাদী শক্তিকে উৎসাহিত করেন তাহলে জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের কোটি কোটি বিজয়ী ছাত্র-জনতা সেই নেতৃবৃন্দকে ফ্যসিবাদেরই দোসর মনে করতে বাধ্য হবে।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি আরও বলেন, অতীতে বারবার এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের বর্তমান অভিযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন কোনো অপরিণামদর্শী ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য থেকে বিরত থাকার জন্য সকল রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন দানকারী শহীদ ও আহত বীর মু্ক্তযোদ্ধাদের বিপুল ত্যাগে অর্জিত আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ। তাদের সম্মান ও মর্যাদাকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যবহার করে পতিত ফ্যাসিস্টদের মত চেতনার ফেরিওয়ালা সেজে জাতীয় ঐক্য বিনষ্টের এ অপচেষ্টাকে দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা গত ৫ আগস্ট ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।”