ডেস্ক রিপোর্ট
আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দ্বিধারায় বিভাজিত হওয়ায় স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পরেও শিক্ষা ব্যবস্থা বৈশ্বিক মানে উন্নীত করা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!আজ (৩০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় অবস্থিত মধুবাগ মাঠে রমনা আইডিয়াল দাখিল মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাদ্রাসাটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ঝিনাইদহ সদর জামায়াতের আমির ড. মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মুহা. সেলিম উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আবেগ-অনুভূতি, তাহজীব- তামুদ্দন, বোধ-বিশ্বাস অনুযায়ী আমাদের জাতীয় শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে হবে। দেশের সিংহভাগ তথা ৯০ ভাগ মানুষই ধর্মবিশ্বাসে মুসলিম। তাই আমাদের দেশের শিক্ষাকে ইসলামী আদর্শ ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানোর কোন বিকল্প নেই। তাই দেশ ও জাতি গঠনের প্রধান সোপান ও অন্যতম অনুসঙ্গ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভালো ও গুণগত প্রতিষ্ঠানে রুপ দেওয়াকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাসীনরা শুধু নিজেদের স্বার্থেই শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে সংস্কার করেনি। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই আমাদেরকে সে অশুভ বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে বিশ্বমান বজায় রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। তাহলেই আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা একবিংশ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সমর্থ হবে।
রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতা কেন্দ্রীক অপরাজনীতিই আমাদের জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। জনগণের কাছে ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসে ক্ষমতাসীনরা টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, দখলবাজী, ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে শুধুই নিজেদের আখের গুছিয়েছে। শিক্ষাসহ রাষ্ট্রের কোন সেক্টরেই কার্যকর কোন সংস্কার করা হয়নি। ফলে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও পদ্ধতি সে সনাতনী এবং নেতিবাচক বৃত্তেই রয়ে গেছে। জামায়াতে ইসলামী দেশে এমন এক শিক্ষা পদ্ধতি চালু করতে চায় যে ব্যবস্থায় শিশু শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ শ্রেণি পর্যন্ত কুরআন, হাদিস ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে সুনাগরিক তৈরিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্যও নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে। একজন শিক্ষার্থী ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হবেন, ঠিক তেমনিভাবে তিনি আধুনিক শিক্ষায়ও যুগপৎভাবে শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবেন। তিনি শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ সমাজের সচেতন মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
মাদরাসাটির কালচারাল শিক্ষক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, হাতিরঝিল পূর্ব থানা সেক্রেটারি খন্দকার রুহুল আমীন ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার শীফট ইনচার্জ জামাল উদ্দিন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।