রোকনুজ্জামান, কোটচাঁদপুর
কোটচাঁদপুরে জামায়াত নেতা এনামুল হক হত্যার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে (সিআইডি)। বৃহস্পতিবার সকালে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কোটচাঁদপুর ঘটনা স্থলে তদন্তে আসেন ঝিনাইদহের (সিআইডি) পুলিশে একটি চৌকস দল।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!জানা যায়, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি জামায়াত নেতা এনামুল হককে উপজেলা পরিষদ থেকে সাদা পোশাক ধারীরা তুলে নিয়ে যায়। ওইদিন এনামুল হক জামায়াত-সমর্থক চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলামের পক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহৃত হন। এরপর ২৬ জানুয়ারি কোটচাঁদপুর পৌর শহরের নাওদাগা গ্রামে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়।
দীর্ঘ ১০ বছর পর এনামুল হকের ভাই বিএম তারিকুজ্জামান বাদী হয়ে ঝিনাইদহের আমলী আদালতে ১৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ কে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।
ওই মামলায় আসামি করা হয় ঝিনাইদহ ৩ আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য অ্যাড. শফিকুল আজম খান চঞ্চল, নবী নেওয়াজ, জেলা পুলিশ সুপার , আলতাফ হোসেন (৫৬), জাহিদুল ইসলাম (৪৫), এস আই মিজানুর রহমান (৪৮), এস আই সৈয়দ আলী (৪৬), সমির কুমার (৪০), শফিকুল আজম খান চঞ্চল (৫৮), মিজানুর রহমান খান (৫৫), মতিয়ার রহমান (৪৫), কওছার আলী (৫০) আ. মতিন (৬০), নজরুল ইসলাম নজু (৪৮), আ. হান্নান (৫০), শরিফুন্নেছা মিকি, শেখ সোহেল আরমান (৪০), নবি নেওয়াজ (৬০), শফিকুর রহমান (৪৮), শাহাজান আলী (৬০), তাজুল ইসলাম (৬৩), এনামুল (৪২)।
এনামুল হক ছিলেন কোটচাঁদপুর উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামে আব্দুল মালেকের ছেলে। মামলাটি তদন্তে আসেন ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ ( সিআইডি) ঝিনাইদহের বিশেষ শাখার (ভারপ্রাপ্ত) পুলিশ সুপার কাজী কামাল ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি ইন্সেপেক্টর আব্দুর রহিম। এ ছাড়া সঙ্গীয় পুলিশ সদস্য ছিলেন রাকিবুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান।
এ ব্যাপারে বিশেষ শাখার (ভারপ্রাপ্ত) পুলিশ সুপার কাজী কামাল বলেন,ওই ঘটনায় এনামুল হকের ভাই বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলাটি এজাহার হিসেবে নিতে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনর্চাজকে নির্দেশ দেন আদালত।
তিনি বলেন ওই মামলাটি থানায় এজাহার হওয়ার পর তা গত ১৬/১০/২৪ তারিখে আদেশ পান তদন্তের। তাঁর ধারাবাহিকতায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পর মামলা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে বলেন ওই কর্মকর্তা