রোকনুজ্জামান কোটচাঁদপুরঃ
ফলন্ত লেবু গাছের পর এবার ধরন্ত পেয়ারা গাছ কেটে দিলেন প্রতিপক্ষরা। এতে করে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তরুন উদ্যেক্তা পারভেজ আক্তার কালু। এ ঘটনাটি কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে। আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে তারা গাছ কাটছেন অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!পারভেজ আক্তার কালু বলেন,আত্ম কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে পিতার ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ১৩৭ শতক জমিতে পেয়ারা ও দেশি জাতের লেবুর চাষ করিয়া জীবিকা নির্বাহ করছিলাম। ওই জমির মৌজা নাম্বার ৫৬, আরএস ১৬২, ১৬৩ ও ৬৩ নং খতিয়ানের ৪৮, ৬০ ও ৬৩ নাম্বার দাগের জমি। ওই গাছ গুলো এখন ফলন্ত। বিবাদী আমার সৎ মাতা।
আমার চাষাবাদে হিংসাত্মক হইয়া আমাকে ওই জমি থেকে বেদখলের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঝিনাইদহে ১৪৪ ধারা জারী করেন।
বিজ্ঞ আদালত ওই মামলার রায় আমার পক্ষে দেন। রায়ে বলা বিষয়টি পারিবারিকভাবে বসিয়া মিমাংসা করিবার জন্য। কিন্তু বিবাদী বিজ্ঞ আদালতের রায়কে অবমাননা করিয়া সম্পূর্ণ গায়ের জোরে গেল ১১/০৯/২০২৪ তারিখে আমার ফলন্ত লেবুর গাছ কেটে দেন। এতে করে আমার ২৫ লক্ষ্য টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ওই গাছ কেটেই তারা চুপ থাকেনি,আমাকে নিঃশ্বেস করতে গেল ৩/০১/২৫ তারিখে আবারও সুরািয়া খাতুন তাঁর লোকজন দিয়ে আমার ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে দিয়েছেন। যাতে করে আমার ১০ লক্ষ্যাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। এরপর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে ওই বাগানে যেতে বিবাদী পক্ষকে নিশেধ করেন। এরপরও তারা আমার বাকি পেয়ারা গাছ কেটে দিয়ে জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন। হুমকি দিচ্ছেন আমার প্রাণ নাশের। আমি এখন তাদের ভয়ে আতংকিত। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
গাছ কাটার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন,কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুজ্জামান সবুজ। তিনি বলেন, ঘটনার পর পারভেজ আক্তার কালু পরিষদ অভিযোগ করেন। এরপেক্ষিতে উভয় পক্ষকে ডাকা হয়। বিবাদি সুরাইয়া বেগম উপস্থিত না হওয়ায় বাদির পক্ষে লিখিত দেয়া হয়।
পারভেজ আক্তার কালু কোটচাঁদপুর পোস্ট অফিস মোড়ের সিরাজুল ইসলামেন ছেলে। অন্যদিকে বিবাদী সুরাইয়া বেগম হচ্ছেন সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।
বিষয়টি জানতে সুরাইয়া বেগমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম বলেন,পারভেজ আক্তার কালুর অভিযোগের পেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। মিমাংসার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ব্যর্থ হয়েছি। এছাড়া আদালতেরও একটি রায় পেয়েছেন কালু। ওই রায়েও বলা হয়েছে পারিবারিক ভাবে মিমাংসা করার জন্য। সেটাতেও ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।