হরিনাকুন্ডু প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পৌর মেয়র ফারুক ছাত্রলীগের জন্মদিন পালন করতে গিয়ে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার। ইদ্রিস আলী পান্না হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের শাসন আমলে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের অত্যাচার এবং সন্ত্রাসী চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!মেয়র হওয়ার আগে এই ফারুক এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে এবং প্রসাশনকে ধরতে সহায়তা করত। বিনিময়ে ভুক্তভোগী পরিবারের নিকট থেকে চাঁদাবাজির মাধ্যমে উপার্জন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজী, চুরি, ডাকাতি, সন্ত্রাসী, হত্যাসহ অর্থের জন্য এমন কোন অপকর্ম নেই যা সাবেক মেয়র ফারুক করেনি। ফারুকের অত্যাচারে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের শাসন আমলে হরিণাকুন্ডু পৌরসভার বিএনপি এবং জামায়াতের অনেক নেতার ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে চলে যেতে হয়েছে।
ফারুকের অত্যাচারের তাদের শিকার বিএনপির পৌর মেয়র জিন্না খানো হয়েছিল, বিএনপি পৌরসভার অনেক নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মাসোহারা হিসাবে চাঁদা নিত ফারুকের নেতৃত্বে তার দলের গুন্ডা পান্ডারা।ফারুক মেয়র হিজাবে ক্ষমতায় আসার পর পৌরসভার ট্রাক ভাটাই কাজ করাতে, যে ট্রাকের কাজ ছিল পৌরসভার ময়লা ফেলা, সেই ট্রাক ফারুক ভাটাই খাটিয়ে টাকায় ইনকাম করতো, ওই সময় যে সকল বিএনপি এবং জামাতের নেতাকর্মী অ্যারেস্ট হতো ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে থানা ছেলে গিয়ে টর্চার করতেন ফারুক ও তার গুন্ডা পান্ডা বাহিনী। আজ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার সময় সাবেক মেয়র ফারুকের নিজ বাড়ি থেকে তার পোশা গুন্ডা পান্ডা নিয়ে কেক কাটার সময় হরিনাকুন্ডু থানার চৌকস অফিসারদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসের গডফাদার ফারুককে গ্রেফতার করেছে। এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে সন্ত্রাসী ফারুক গ্রেফতার হওয়ায়।