সাইফুল ইসলাম, ঝিনাইদহ
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে জাতীয় ঐক্যেও কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন,শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পাপিষ্ট এক ফ্যাসিস্ট রেজিম প্রতিষ্ঠা করেছিল। আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে দেশে লুটপাট, চাঁদাবাজি, গণহত্যা, গুম-খুনের ভয়াল রাজত্ব কায়েম করেছিল। শেখ মুজিব একবার ৭১ পরবর্তী দেশে গণহত্যা চালায়। জাসদসহ বিভিন্ন দলের ত্রিশ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করে। তারা ২৪ সালে এসে হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার গণহত্যা চালায়। ফ্যাসিষ্ট আ’লীগ দুই বার দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। তাই আমরা আর তৃতীয়বার আওয়ামী লীগকে গণহত্যার সুযোগ দেব না।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!তিনি আরো বলেন, দেশে আওয়ামী রেজিমের পতন ঘটেছে। দেশে আর তাদের রাজনীতি চলবে না। জুলাই বিপ্লবে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্য ধরে রাখতে না পারে, তাহলে বিপ্লব ব্যর্থ হবে। আর বিপ্লব ব্যর্থ হলে আওয়ামী লীগ আবার দেশে ফিরে কাউকে রেহায় দেবে না, সবাইকে ফাঁসিতে ঝুলাবে। তাই নিজেদের মধ্যে একতা ধরে রাখুন। ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান রাশেদ খাঁন বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহের একটি হোটেলে “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া এবং মাদক দুর্নীতি দুঃশাসন চাঁদাবাজ মুক্ত বৈষম্যহীন সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠনে তারুণ্যের ভাবনা” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি রকিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল রাজন, পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ব্যাংকার রাসেল আহমেদ, মিশন আলী, ছাত্র অধিকারের আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আল সোয়াইব মেরাজ প্রমুখ।
রাশেদ খাঁন অভিযোগ করে বলেন, ঝিনাইদহে দলীয় পরিচয়ে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজী ও দুর্নীতি হচ্ছে। এভাবে দখলদারিত্ব চলতে থাকলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বীর শহিদদের আত্মত্যাগ নস্যাৎ হবে। তিনি বলেন, দেশে এখন তারুণ্য নির্ভর পরিবর্তনের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ঝিনাইদহে যারা রাজনীতি করেন, তাদের ভুলে গেলে চলবে না, দেশে এখন আর হাসিনার আমলের রাজনীতি নেই। সম্প্রীতি আর ভালোবাসার নজীর তৈরী করে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে।
এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি জনগনের নেতা হবেন নাকি জনগন কর্তৃক গণধিকৃত হবেন। তিনি কতিপয় উপদেষ্টাদের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আপনারা কেউ কেউ কিংস পার্টি গঠন করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এটা যদি আপনারা করেন তবে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে দেশের মানুষ। কিংস পার্টিকে দেশের মানুষ গ্রহন করবে না। কারণ তারা সরকারের সুবিধাভোগী।
রাশেদ খাঁন জাতীয় সরকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, দেশ চালাতে জাতীয় সরকার লাগবে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে জাতীয় সরকার ছাড়া উপয় নেই।
তিনি বলেন, জননেতা তারেক রহমান যে ৩১ দফা দিয়েছেন সেটা শুধু বিএনপির নয়, আমাদেরও। ৪৫টি দল মিলে এই ৩১ দফা দিয়েছেন। কাজেই জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মান করতে হবে। সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ছাড়াও গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা অংশ গ্রহন করেন।