সাইফুল ইসলাম, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাথকুন্ডু গ্রাম থেকে চার ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসি। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ট্রাক ভর্তি ১০টি গরু উদ্ধার করা হয়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সোমবার রাত ১০টার দিকে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। আটক ডাকাতদের তিনজনের পরিচয় মিলেছে। তারা হচ্ছে যশোরের মানিক, খুলনার রূপসা এলাকার সাইফুল ও গোলজার হোসেন গোলে। সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়ন বিএনপির নেতা রাজু আহম্মেদ শিপন জানান, তিনি রাতে ঝিনাইদহ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের বৈডাঙ্গা মাঠের মধ্যে পেছালে একদল গরু ব্যবসায়ী বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন।
তিনি গাড়ি থেকে নেমে জানতে পারেন গরু ব্যবসায়ীদের চোখে ঝালের গুড়া মেরে ডাকাতদল তাদের ১০টি গরু নিয়ে পালিয়েছে। আহতদের চোখে মুখে পানির ব্যবস্থা করে শিপন ও তার ড্রাইভার ডাকাতদলকে ধাওয়া করে।
বিএনপি নেতার ডাক চিৎকারে আশপাশের গ্রামের লোকজন ছুটে এসে বাজারগোপালপুর, নারায়নপুর ত্রিমোহনী, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ করে। তাদের সঙ্গে যোদ দেয় ডাকবাংলা ও বাজারগোপালপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। ডাকাতদলের সদস্যরা ছিনতাইকৃত মিনি ট্রাক নিয়ে নিকটস্থ নাথকুন্ডু গ্রামে ঢুকে পড়লে জনতা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতদলের চার সদস্যকে ধরে গনপিটুনি দেয়। এ সময় পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ নেওয়াজ জানান, আহতদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা খারাপ।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, চুয়াডাঙ্গার ডুগডুগি গরুর হাট থেকে কয়েকজন গরু ব্যাবসায়ী ১০টি গরু কিনে ফরিদপুরে যাচ্ছিল। পথে কিছু ছিনতাইকারী তাদের চোখে মরিচের গুড়া দিয়ে গরুগুলো নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে জনতা তাদের ধরে পিটুনি দেয়। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা জনতার রোষানল থেকে ছিনতাইকারীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ওসি আরা জানান, এটি ডাকাতি নয়, ছিনতাই বলা যেতে পারে। ছিনতাইকারীদের পুর্নাঙ্গা ঠিকানা ও তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে পুরো নাম ঠিকানা উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।