ঝিনাইদহের মহেশপুরে জামায়াতের নারী নেত্রীদের ওপর বিএনপির কিছু নেতার হামলার অভিযোগ এনে তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে ঝিনাইদহ জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সোমবার দলটির জেলা আমীর অধ্যাপক আলী আজম মো. আবুবকর এবং সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল আওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, ঝিনাইদহের মহেশপুরে জামায়াতের দ্বীনদার নারী নেত্রীদের ওপর বিএনপির কিছু সন্ত্রাসীরা হামলার ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
জামায়াতের নারী নেত্রীদের ওপর বিএনপির সন্ত্রাসীদের এ ন্যক্কারজনক এ হামলার ঘটনা, গত বছরের ৫ আগস্টের পূর্বের আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের সন্ত্রাসী তাণ্ডবকেও হার মানিয়েছে।
দেশবাসীর সদয় অবগতির জন্য আমরা উল্লেখ করছি যে, গতকাল রোববার সকাল ১১টার দিকে মহেশপুর উপজেলা বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের কুল্লোপাড়া গ্রামের খাইরুল ইসলামের বাড়িতে স্থানীয় নারীদের নিয়ে বিশ্ব নারী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। এসময় ওই এলাকার বিএনপির সন্ত্রাসী আল আমিন, ঝুমুর, সাহেব, সোহেল ও আশরাফুল হাতুড়ি, কাঁচি ও বাঁশের লাঠি নিয়ে জামায়াতের মহিলা নেত্রী হাসিনা খাতুনসহ মহিলাদের ওপর হামলা করে এবং খারাপ ভাষায় তাদের গালিগালাজ করতে থাকে। তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তারা সালেহা বেগমকে বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এছাড়া আসামীরা হাসিনা খাতুনকে খাইরুল ইসলামের বাড়ি থেকে ধাক্কা মারতে মারতে রাস্তার ওপর এনে বাম কানে দুটি চড় মারে। এছাড়া আল আমিন, সাহেব ও সোহেল হাসিনা খাতুনের শরীরের থাকা ওড়না টান দিয়ে শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং মাথা আলগা করে রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে রাখে। এর কিছুক্ষণ পর তারা হুমকি-ধামকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
আমরা মহেশপুরে জামায়াতের নেত্রীদের ওপর বিএনপির সন্ত্রাসীদের ন্যক্কারজনক হামলা ও নারীদের লাঞ্ছিত করার ঘটনার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি