মেজবাউর রহমান, ঝিনাইদহ
চাপ প্রয়োগের অভিযোগ এনে ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছেন।বুধবার সকালে বারভবনে তারা এ ঘোষনা দেন।ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. আজিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে চাপ দিচ্ছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!এছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় আমরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি।আমাদের কোন প্রার্থী বা সমর্থক এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট খায়রুজ্জামান জানান, জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আমি নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলাম।
গত ২৫ নভেম্বর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ৩ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। আমি তাদের দাবির বিষয়ে লিখিতভাবে বারকে জানায় সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য কিন্তু বারের পক্ষ থেকে আমাকে কোন সিদ্ধান্ত দিলেন না। নির্বাচন নিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে আমি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি।সেকারণে আমি নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব থেকে নিজেও পদত্যাগ করেছি।লিখিত পদত্যাগপত্র আমি বারে দাখিল করেছি। এছাড়া আমার সাথে দু’জন সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন।তারা হলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক ও অ্যাডভোকেট তারিকুল আলম। তাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেকও পদত্যাগ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর আইনজীবী সমিতি ভবনে নির্বাচনের দায়িত্বরত নির্বাচন কমিশনারের কাছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহবায়ক আবু হুরাইরা ও সদস্য সচিব সাইদুর রহমান ৩ দফা দাবি সম্বলিত এক স্মারকলিপি লিপি প্রদান করেন।বলা হয় এই নির্বাচনে আওয়ামী পন্থীদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হলে জুলাই বিপ্লবের হাজারো শহীদের রক্তের সাথে বেইমানী করা হবে।তাদের কোন ভাবেই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে দেওয়া হবে না।
২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণের দিন ধার্য্য ছিল। নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ৩২০ জন। নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত ঐক্য পরিষদের সবুজ প্যানেলে ১৭ জন, আওয়ামীপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদরে লাল প্যানেলে ১৭ জন ও সতন্ত্র সাদা প্যানেলে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেওয়ার কথা।