ডেস্ক রিপোর্ট
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার খুনের ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন।
এমপি আনার খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনের একজন আমানুল্লাহ জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন, আনারকে খুনের জন্য আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীনের সঙ্গে তার ৫ কোটি টাকার চুক্তি হয়।
তবে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের কাছে আক্তারুজ্জামান শাহীন দাবি করেছেন, এমপি আনার হত্যার সময় তিনি বাংলাদেশে ছিলেন। ৫ কোটি টাকায় কিলিং মিশন চুক্তির খবরও অস্বীকার করেন তিনি। টেলিফোনে শাহীন বলেন, ‘এই ঘটনায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। এই ঘটনার সময় আমি ভারতে ছিলাম না। আমার আইনজীবী বলেছেন এ বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা না বলতে। মানুষ দেশে অনেক কথাই বলে। যদি কোনো প্রমাণ থাকে তাহলে দেখাক।’
শাহীনের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে আনার খুন হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এই প্রসঙ্গে শাহীন বলেন, ‘আমি যদি ফ্ল্যাট ভাড়া নিই। আমি কি আমার ফ্ল্যাটে এই ধরনের কাজ করব? আমার পাসপোর্ট রেকর্ড দেখলে দেখা যাবে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এখন বলা হচ্ছে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কীভাবে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি? কোথা থেকে পেলাম আমি এত টাকা! এখন এগুলো মানুষ বললে আমার কী করার আছে? ঘটনা কবে ঘটেছে সেগুলো আমি পত্রিকায় দেখেছি। সে সময় আমি বাংলাদেশে ছিলাম।’
শাহীন বলেন, ‘এ ছাড়া আমার ড্রাইভার তো কিছু করেনি। আমার গাড়ি, আমার সবকিছু নিয়ে চলে গেছে। এটা কোন ধরনের বিচার। আমি যদি অন্যায় করে থাকি তাহলে আমাকে ধরুক। আমি তো এই দেশে বিচার পাব না। আমি আমেরিকার নাগরিক, এখানে চলে এসেছি। কী করব?’
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে বাংলাদেশে সৈয়দ আমানুল্লাহ, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি নামে তিনজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে মো. আক্তারুজ্জামান শাহীনের নাম এসেছে। কলকাতার নিউ টাউনে যে ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়, সেটি এই শাহীনের ভাড়া করা। তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. সহিদুজ্জামান সেলিমের ছোট ভাই।
পুলিশের বরাতে গণমাধ্যমে খবর এসেছে, আক্তারুজ্জামান শাহীন ও আনোয়ারুল আজীম পুরোনো বন্ধু। শাহীনের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে। রাজধানীর গুলশানে তার বাসা রয়েছে। তার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব রয়েছে। নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে তার বাসা। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কলকাতার ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার সময় শাহীন যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন, যা ভাড়ার চুক্তিপত্রেও উল্লেখ আছে। তাকে ধরার জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানা যায়।