কালীগঞ্জ প্রতিনিধি
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে শনিবার দিবাগত রাতে সারা দেশের ন্যয় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবেকদর পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মসজিদসহ উপজেলার ওয়াক্তিয়া মসজিদে রাতব্যাপী ওয়াজ মাহফিল, ধর্মীয় বয়ান ও আখেরি মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।এতে এই মহিমান্বিত রাত সম্পর্কে মুসল্লিদের উদেশ্যে কিছু বয়ান পেশ করেন। লাউতলা বাজার জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাও. নুরুল ইসলাম। পরে, তারাবি নামাজ শেষে মহিমান্বিত এ পবিত্র লাইলাতুল কদর রাতে পাপ মোচন ও মুসলিম উম্মার শান্তি এবং কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য,ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কাছে শবেকদরের রাত হাজার রাতের চেয়ে পুণ্যময় /উত্তম মহান আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন, ‘হাজার রাতের চেয়েও উত্তম’ পবিত্র শবেকদর সমগ্র মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বরকতময় ও পুণ্যময় রজনী। পবিত্র শবেকদরের রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভে ইবাদত-বন্দেগি করবেন।
ঝিনাইদহ কালিগঞ্জ সহ প্রতিটি উপজেলা ও গ্রামের মসজিদেই তারাবি নামাজ শেষে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে সারা রাত জেগে নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলওয়াত, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও জিকির-আজগার করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা জীবনের সব পাপ মোচনের জন্য দুচোখের পানি ফেলে মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। অনেকেই কবরস্থানে গিয়ে বাবা-মাসহ আত্মীয়স্বজনদের কবরও জিয়ারত করেছেন এবং অসহায়-গরিব দুস্থদের দান-খয়রাত করে পরকালের শান্তির জন্য দোয়াও চেয়েছেন।
পবিত্র রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে পবিত্র আল কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শোকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা শনিবার দিবাগত রাতে মসজিদসহ বাসাবাড়িতে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থেকেছেন। এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। আমরা অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, বরকত ও মাগফিরাত।