বনি আমিন, (কালীগঞ্জ)
পারাপারে ভাঙা কাঠের সেতুতই শেষ ভরসা দুই ইউনিয়নের মানুষের। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়ন এবং কোলা ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া বেগবতী নদীর ওপর পুরাতন সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। নির্মাণকাজ চলাকালীন সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য নির্মাণস্থল থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে একটি কাঠের সেতু তৈরি করা হয়। কিন্তু নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি সেতুটি বারবার ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয়দের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগ।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!এই ভাঙা কাঠের সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ইজিবাইক, ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। ভারী যানবাহন চলাচল করতে না পারায় কৃষি পণ্য পরিবহনও ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের, বিশেষত শিক্ষার্থী ও রোগীদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তালিয়ান গ্রামের বাসিন্দা বারেক আলী বলেন, “এই সেতুটি জামাল ও কোলা ইউনিয়নের মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এটি ভাঙা থাকায় আমাদের জীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। রোগী পরিবহন থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া—সব কিছুতেই সমস্যা হচ্ছে।”
ইজিবাইক চালক দেলোয়ার হোসেন জানান, “সেতুর দুর্বল কাঠামোর কারণে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি পার করতে হয়। সম্প্রতি একটি ইজিবাইক উল্টে যাত্রীসহ আহত হয়। এখন যাত্রীদের নামিয়ে গাড়ি পার করি। দ্রুত সেতুটি মজবুত করা প্রয়োজন।”
কাঠের সেতুটি “শামীম এন্টারপ্রাইজ ও মোঃ মিজানুর রহমান” নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে নির্মিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি আব্দুল খালেক জানান, “সংযোগ সড়ক তৈরির বাজেট কম হলেও সেতুটি ভালোভাবে তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নতুন কাঠের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল সেতুটি সংস্কার করা হবে।”
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আহসান হাবীর বলেন, “সেতুটির বিষয়ে আপাতত কোনো তথ্য দিতে পারব না। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।”
দুই ইউনিয়নের মানুষের জন্য সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত মজবুত কাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে এ দুর্ভোগের সমাধান করা জরুরি, না হলে স্থানীয়দের ভোগান্তি আরও দীর্ঘায়িত হবে।