রোকনুজ্জামান, কোটচাঁদপুর
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার জামায়াত ইসলামীর নেতা এনামুল হক হত্যার ঘটনায় মামলার তদন্ত নতুন মোড় নিয়েছে। কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের চাঁদপাড়া গ্রামে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি জামায়াত নেতা এনামুল হককে হত্যার ঘটনায় রোববার দুপুরে কোটচাঁদপুর আমলী আদালতে মামলার পরিধি বাড়ানো হয়েছে। মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের ভাই বি এম তারিকুজ্জামান।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বি এম তারিকুজ্জামান অভিযোগ করেছেন যে, তার ভাই এনামুল হককে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ থেকে সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে যায়। এনামুল হক ওই সময় জামায়াত-সমর্থক চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলামের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহৃত হন। পরে ২৬ জানুয়ারি কোটচাঁদপুর পৌর শহরের নাওদাগা গ্রামে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ সেই সময় দাবি করেছিল, যৌথ বাহিনীর অভিযানে এনামুল হক নিহত হন।
মামলার তদন্তে নতুন অভিযোগ এসেছে যে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের সমন্বিত ষড়যন্ত্র ছিল। মামলায় সাবেক ঝিনাইদহ ৩ আসনের সাংসদ ও জেলা পুলিশ সুপার সহ ১৯ জন কে আসামী করা হয়েছে।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ কে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ সৈয়দ আল-মামুন জানিয়েছেন, আদালতের আদেশ এখনো থানায় পৌঁছায়নি। আদেশ হাতে পেলে মামলার কার্যক্রম শুরু হবে।
এই মামলা রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে গুরুতর বিতর্ক সৃষ্টি করেছে এবং এলাকার জনগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের দিকে সবাই তাকিয়ে রয়েছে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি সচেতন মহলের