ইবি প্রতিনিধি
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!কোটা পদ্ধতির সংস্কার ও সরকারি চাকরিতে সর্বসাকুল্যে ১০ শতাংশ কোটার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (০২ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্বর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। যা ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে মিলিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের পক্ষে চার দফা দাবী তুলে ধরেন। দাবী গুলো হলো: কোটার বিষয়ে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল না রাখা, কমিশন গঠন করে দ্রুত বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করা, কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার বন্ধ ও শূন্য পদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করা।
ফোকলোর স্টাডিস বিভাগের জান্নাত মালিহা সিমা বলেন, কোটা পদ্ধতির ফলে দেশের বৃহত্তর অংশ চাকরি বৈষম্যে ভুগছে। এই বৈষম্য রোধে কোটা সংস্কারের আন্দোলন। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে কোটার যে সুষম বণ্টন, অর্থাৎ কোটা ধারী যেকোনো একটা পরিবার একটা সুযোগ নিতে পারবেন। ফলস্বরূপ যে উচ্চ শিক্ষা নিতে কোটা ব্যবহার করলে সে চাকরির জন্য আর কোটা পাবেন না। আমর চাই আমাদের দেশেও এমন ব্যবস্থা হোক।
ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের মোখলেছুর রহমান সুইট বলেন, ২০১৮ সালে দেশে ৫৬শতাংশ যে কোটা ব্যবস্থা ছিল আমারা তা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনের করছি। কিন্তু সরকার তা সংস্কার না করে বাতিল করেছে। বর্তমানে সরকার আবার সেই কোটায় ফিরছে। আমারা কোটা পদ্ধতি বাতিল নয় সংস্করণ চাই। তাই হাইকোর্টের রায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলতে চাচ্ছি, এমন বৈষম্য আইন যেন বাতিল করে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা যেন সুযোগ প্রদান করা হয়।