এম এ কবীর, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের পর এবার ঝিনাইদহ পুলিশের দুই কর্মকর্তা ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করছেন।
রোববার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও পুলিশের এসআই ফরিদ ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
দুপুরে পুলিশ সুপার আজিম উল আহসানের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপদেষ্টা সাবিক মোহাম্মদ আল হাসান, সমন্বয়ক আবু হুরাইরা ও সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করেন এবং ছাত্র আন্দোলনের সময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও পুলিশের এসআই ফরিদের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ছাত্রনেতারা দ্রæত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ঝিনাইদহ ছাড়ার আল্টিমেটাম দিলে পুলিশ সুপার ছাত্রদের দাবীর মুখে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও পুলিশের এসআই ফরিদকে ছুটি দিয়ে কর্মস্থল ছাড়ার কথা জানান। এ সময় বিপুল সংখ্যক ছাত্রজনতা ভুয়া ভুয়া বলে শ্লোগান দিতে দিতে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ত্যাগ করেন।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপদেষ্টা সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান, সমন্বয়ক আবু হুরায়রা, সাইদুর রহমান, এলমা খাতুন, রত্না খাতুন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এসএম সোমেনুজ্জামান সোমেন, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক, ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ ও ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন, বখতিয়ার মাহমুদ, মাহবুব আলম মিলু ও আব্দুস সালামসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সমন্বয়ক আবু হুরায়রা গনমাধ্যমকর্মীদের জানান, প্রশাসনে ফ্যাসিষ্ট খুনি হাসিনার কোন দোসরকে রাখা হবে না।
তারা প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থেকে আবারো আ’লীগকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও পুলিশের এসআই ফরিদ নিজেদের ছাত্রলীগের টোকাই কর্মী বলে পরিচয় দিতেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় এই দুই পুলিশ কর্মকর্তার ভুমিকা ছিল ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনীর মতো।
এর আগে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দলীয়করণ, নিয়োগ বানিজ্য ও স্থানীয় আ’লীগ নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার অভিযোগ তোলেন।