মেজবাউর রহমান :
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রবীণতম সংগঠন “ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস’ এ্যাসোসিয়েশন (ঊষা) এর দিনব্যাপী জমজমাট অনুষ্ঠানসমূহ সম্পন্ন হয়েছে।
১৬ই ডিসেম্বর সোমবার ঊষা কার্যালয় প্রাঙ্গনে সমবেত জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান কার্যক্রমের সূচনা হয়।
পরবর্তীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঊষা’র ধারাবাহিক কার্যক্রম হিসাবে ছিলো, মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় পঞ্চাশজন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
ঊষা’র সর্বশেষ কার্যক্রম হিসাবে ছিলো, শিশু শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। মোট তিন বিভাগে প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঊষা’র উপদেষ্টা, অমলেন্দু পাল সাধন, আশরাফ উদ্দিন, উত্তম চক্রবর্তী, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, অসীত গাঙ্গুলী টিংকু, মোস্তফা মোরশেদ তোতা, মোঃ মাসুদ সাজ্জাদ, মাসুম বিল্লাহ, সাগর হোসাইন, সোহানুর রহমান সোহান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ঊষা কেন্দ্রীয় নির্বাহী পর্ষদের সাবেক সভাপতি কুরাইশিন হোসাইন, ঊষা কেন্দ্রীয় নির্বাহী পর্ষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মাহফুজুর রহমান রিপন।
ঊষা কেন্দ্রীয় নির্বাহী পর্ষদ সভাপতি মোঃ এহসানুল হক রকির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রেজাউজ্জামান সোহানের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠান সমূহে উপস্থিত ছিলেন ঊষা কেন্দ্রীয় পর্ষদ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মানিত সদস্যগন।
সভাপতির বক্তব্যে উষা কেন্দ্রীয় পর্ষদের সভাপতি এহসানুল হক রকি বলেন,” ঊষা পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত এই মিনি ম্যারাথন ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আমাদের জাতীয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনকে আরো উজ্জ্বল করে তুলছে।
আজ থেকে পঞ্চাশেরও বেশি বছর আগে, আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের রক্ত দিয়ে অর্জিত করেছিলেন এই স্বাধীনতা। তাদের স্মরণে এবং এই বিজয়ের গৌরব বহন করেই আমরা আজ এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি।
মিনি ম্যারাথন আমাদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি একটি ঐক্যবদ্ধ দেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রতীক। আর চিত্রাঙ্কন আমাদের মননশীলতা এবং সৃজনশীলতাকে উন্নীত করে।
আজকের এই প্রতিযোগিতা শুধু একটি খেলা বা প্রতিযোগিতা নয়, এটি আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং জাতীয়তাবোধের সাথে জড়িত একটি অনুষ্ঠান। আমি আশা করি, এই প্রতিযোগিতা আমাদের সকলকে আরো বেশি করে দেশপ্রেমিক করে তুলবে।”