কালিগঞ্জ (ঝিনাইদাহ) প্রতিনিধি
মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলমান নিয়োগ বাণিজ্য, আর্থিক দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এবার সরাসরি সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!গত বুধবার মিলের ১৩৭ জন রাজনৈতিক ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ ঘটে।
বিএনপির দুই গ্রুপের এই সংঘর্ষে মিলের পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয়রা জানান, নিয়োগের নামে দীর্ঘদিন ধরে চলা অর্থনৈতিক লেনদেন এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগের জেরেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। এই সংঘর্ষের মধ্যেই গোপনে শূন্য পদে নতুন করে ১৩৭ জন নিয়োগের কাজ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই অনিয়ম ও সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মিলের এমডি সাইফুল ইসলামের সাথে সাক্ষাতের অপেক্ষায় থাকেন।
তবে গোপন সূত্রে জানা যায়, এমডি মিলেই অবস্থান করছিলেন, কিন্তু আত্মগোপনে ছিলেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা মিলের আরেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানের (এডিএম) সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি দুর্নীতির দায়ভার আরেক কর্মকর্তা গোলাম রসুলের ওপর চাপিয়ে দেন। এবং একপর্যায়ে সমন্বয়কদের কয়েকজনের সাথে গোপন বৈঠকে প্রস্তাব দেন।
এটি নিয়ে উত্তেজনা আরও বাড়ে, কারণ আন্দোলনকারীরা জানান, “যা সিদ্ধান্ত হবে, সবার সামনেই হবে। কোনো গোপন আলোচনা বা চুক্তি মেনে নেওয়া হবে না।” পরে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্লোগান দিতে শুরু করে এবং মিলের সব ধরনের অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়।
আগামী ১৩ ডিসেম্বর মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের কার্যক্রম পুনরায় উদ্বোধনের পরিকল্পনা থাকলেও শূন্য পদে গোপনে নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের ফলে উদ্বোধন ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। শ্রমিক ও আন্দোলনকারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই অনিয়ম ও দুর্নীতির সুষ্ঠু সমাধান না হলে মিলের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে।