হরিণাকুন্ডু প্রতিনিধি
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার বলরামপুর গ্রামের মন্দিরের পাশে অতি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ লাইনের উপর গাছ পড়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা হরিনাকুন্ডু পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে একাধিকবার ফোন করে জানানোর চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি। এমতাবস্থায় বিদ্যুৎ চালু করে দেন তৎক্ষণাৎ বিদ্যুতের তার ছিড়ে ঘটনাস্থলে পাশের দোকানে বসে থাকা শিশুসহ চারজন মারাত্মকভাবে যখম হয়।
পরবর্তীতে হরিণাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারীরিক ক্ষত দেখে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা হলেও পরবর্তীতে একজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হলে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেয়। তিনি এখন ঢাকাতে চিকিৎসারত আছেন।
বিদ্যুৎস্পৃষ্টদের পরিচয়
১. মো. সেলিম রেজা (৫০) পিতা আব্দুল মুন্নাপ, ২. শ্রী মুনিম হলদার (৫৮) পিতা শ্রী ভাদু হলদার, ৩. মোছা. ফিরোজা বেগম (৪৫) স্বামী মো. কাইদ ইসলাম ৪. মোঃ হোসাইন (০৭) পিতা আজিবার মন্সী।
সোমবার সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, একটানা বৃষ্টির কারণে রাস্তার পাশের সেগুন গাছটি তারের উপর পড়ে দূর্ঘটনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় একটানা বৃষ্টি হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ চলে যায়, পাশের যে সেগুন গাছটি ছিল, বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে রাস্তার পাশের সেগুন গাছটি তারের উপর পড়ে যায় ,তারপরে আমরা স্থানীয় লোকজন বিদ্যুৎ অফিসে একাধিক বার ফোন দিলেও রিসিভ করেনি। যদি ফোন রিসিভ করতো তাহলে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হতো না দুর্ঘটনার সৃষ্টিও হতো না।
এলাকাবাসীর দাবি , এই দায় কে নেবে বিদ্যুৎ অফিস থেকে যদি ফোনটা রিসিভ করতো ও সংযোগ না চালু করত তাহলে এই দূর্ঘটনার সৃষ্টি হতো না। এমন দূর্ঘটনার সৃষ্টি যেন আর কোন জায়গায় না হয় সেই কারণে বিদ্যুৎ অফিসে সচেতন বাড়াতে হবে এবং আহতদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।