ঝিনাইদহ সংবাদদাতা
সিরাতুন্নবী (সা.) মাহফিল উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৬৫ বছর বয়সী এক কর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হঠাৎ মারধরের ঘটনা ঘটায় বলে এমন অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কর্মী মোবাশ্বের,আবুবকর এবং ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আমীরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৫ নং কুমড়া বাড়িয়া ইউনিয়নের নগর বাথান সর্দ্দার পাড়া গ্রামে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সারা দেশে প্রতিদিনই প্রায় চলছে সিরাতুন্নবী (সা.) নিয়ে দোয়া, আলোচনাসভা। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত আট টার দিকে নগর বাথান সর্দ্দার পাড়া জামে মসজিদে অত্র ওয়ার্ডে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের উদ্যোগে সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে একটি দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন তারা।
দোয়া মাহফিল শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মী নগর বাথান সর্দ্দার পাড়া গ্রামের বিশারদ (৬৫) নামের এক ব্যক্তি পাশে থাকা এক দোকানে যাচ্ছিলেন এমনতো অবস্থায় বিএনপির মোবাশ্বেরসহ কয়েক জন ভুক্তভোগী বিশারতকে বলে মসজিদে ওরা নৌকার ভোট চেয়েছে তাই না? তখন তিনি বলেন না আছর থেকে শুরু করে আমি এ পর্যন্ত আছি। নৌকার ভোট তো ওরা চায়নি। তখনই তারা তাকে বলে ধর শালার এ বলে তার হাতে দুই বাড়ি মারে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী বিশারত বলেন- অনুষ্ঠান শেষে আমি একটি দেকানে যাচ্ছি। এমনতো অবস্থায় তারা আমাকে বলে মসজিদে ওরা নৌকার ভোট চেয়েছে। আমি বলি না আছর থেকে শুরু করে আমি এ পর্যন্ত আছি নৌকার ভোট তো ওরা চায়নি। তখনই তারা আমাকে বলে ধর শালা এ বলে আমার হাতে দুই বাড়ি মারে।
মারধরের বিষয়ে সবেক ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি -আমীরুল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন – এখানে কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি- কিছু কথা কাটা-কাটি হয়েছে। আমরা সবাই একই পরিবারের। কেন হলো এবিষয়ে তিনি বলেন- আমরা তাদেরকে বলেছি যে মসজিদে কোন রাজনৈতিক অনুষ্ঠান হবে না। যা করবা মসজিদের বাইরে করবা। কিন্তু তারা মসজিদের মধ্যেই তাদের প্রোগ্রাম করেছে। এ সূত্র নিয়েই বাকবিতণ্ড।
তার কাছে মোবাশ্বের হোসেনের ফোন নাম্বার টা চাইলে তিনি বলেন আমার কাছে আছে- নগর বাথান বাজারে আমার দোকানে আসেন- কথা হবে-আর সে আমার ছোট ভাই তার সাথে কথা বলার দরকার নেই।
এবিষয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়ন আমীর আলতাফ হোসেন বলেন- রবিবার রাতে নগর বাথান সর্দ্দার পাড়া গ্রামে সীরাত অনুষ্ঠানের পর একই গ্রামের মতলেব মিয়ার ছেলে মোবাশ্বের হোসেন আমাদের কর্মী বিশারত মিয়ার সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ হাতে দুইটি বাড়ি মেরেছে। তার সাথে ছিল একই গ্রামের মশিয়ার,আবুবকর ও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আমীরুল ইসলাম। সুতরাং ঝিনাইদহ প্রশাসনের নিকট আমাদের দাবি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি।
এবিষয়ে সদর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিন উদ্দিন বলেন- এবিষয়টি আমি জানি না। ভুক্তভোগীরা যদি লিখিত অভিযোগ দেন তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।