এম এ কবীর, ঝিনাইদহ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঝিনাইদহে শহীদ প্রকৌশলী রাকিব ও শহীদ সাব্বিরের পরিবারকে সহানুভুতি ও দুই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!রোববার দুপুরে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামে আমরা বিএনপি পরিবারের আহবায়ক ও দলের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন তারেক রহমানের পক্ষে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এ সময় এক অনুষ্ঠানে আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা এম রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক বুয়েট ছাত্র নেতা প্রকৌশলী হাসনাইন মনজুর ইমন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড এম মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, আমরা বিএনপির পরিবার’র সদস্য শাহাদাত হোসেন, মোস্তাফিজ বিল্লাহ, ফরহাদ আলী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুল বাশার, যুগ্ম সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজিব, ঢাকা কলেজ ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মেসবাহ, ঝিনাইদহ বিএনপির মুন্সি কামাল আজাদ পাননু, আব্দুল মজিদ বিশ^াস, সাজেদুর রহমান পাপপু, শৈলকুপা বিএনপির হুমায়ন বাবর ফিরোজ ও হরিণাকুন্ডু বিএনপির জিন্নাতুল হক প্রমুখ উপিস্থত ছেলেন। আমরা বিএনপি পরিবার’র আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন শহীদ প্রকৌশলী রাকিব ও শহীদ সাব্বিরের পরিবারকে শান্তনা ও সহানুভুতি জানিয়ে বলেন, আমরা আপনাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দিতে পারবো না। কিন্তু তারা দেশের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি বলেন দ্বিতীয় স্বাধীনতার ক্ষেত্র তৈরী করেছিল বিএনপি। তারই ধারাবাহিকতায় চব্বিশ সালের আগষ্ট-জুলাই বিপ্লব ঘটেছিল।
তিনি বলেন, বর্তমানে যারা দেশ পরিচালনা করছেন, তারা শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতার বদৌলতে দেশ সংস্কারে এগিয়ে নিচ্ছেন। বর্তমান সরকারের প্রতি আহকবান জানিয়ে রুমন রহমান বলেন, যারা পুলিশের গুলিতে শহীদ বা আহত হয়েছেন তাদের সবার অর্থিক সহায়তা দরকার নেই। বরং যে পরিবার তাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তিটি হারিয়ে আজ অসহায় তাদের সহায়তা করুন, সেই পরিবারের সদস্যদের চাকরী দেন। তিনি বলেন, বিএনপির সুদিন আসলে শহীদ রাকিব ও শহীদ সাব্বিরের নামে বিভিন্ন সড়ক ও সরকারী বেসরকারী স্কুল বা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করে তাদের আত্মত্যাগকে স্বীকার করা হবে। তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব শহীদ পরিবারের পাশে আছে এবং সব সময় থাকবেন। অনুষ্ঠান শেষে দুই শহীদ পরিবারের পিতামাতার কাছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিশেষ অর্থিক অনুদান পৌছে দেন এবং শহীদ রাকিবের মাজার জিয়ারত করেন।