ঝিনেদার কাগজ || Jhenedar kagoj || সত্যের আলোয় সুন্দর

২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ডনাল্ড ট্রাম্পের দাবি: আমি থাকলে বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটত না

বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন

ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর ‘বর্বর সহিংসতা’ র অভিযোগ এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকলে এটা কখনও ঘটত না। তুমুল গণআন্দোলনে মুখে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে সরকার পতনের পর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এ পোস্ট করে ট্রাম্প এই কথা বলেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

২০১৬ সালের নির্বাচনে জিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন তিনি। হেরে যান পরের নির্বাচনে। যুক্তরাষ্ট্রে পরপর দুইবারের বেশি কেউ প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন না। গত নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় এবার ট্রাম্প আবার ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন। সেই হিসেবে পর পর তিনটি নির্বাচনে একই প্রার্থীকে দেখছেন দেশটির ভোটাররা।

রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বলেন, “আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ‘বর্বর সহিংসতার’ তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, যারা উচ্ছৃঙ্খল জনতা দ্বারা আক্রমণ ও লুটপাটের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি বিশৃঙ্খল।”

গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। হিন্দু সম্প্রদায় তখন থেকেই ধারাবাহিক বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে, যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগকে ‘অতিরঞ্জিত’ বলে দাবি করা হয়েছে।

বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে হিন্দুদের অবস্থা নিয়ে বক্তব্য দেন তিনি এবং সবাইকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানান ডনাল্ড ট্রাম্প।

নিজে ক্ষমতায় থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না বলে দাবি করে ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করেন তিনি।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “’আমার চোখের সামনে কখনই ঘটত না। সারা বিশ্বে ও আমেরিকায় হিন্দুদের অবহেলা করেছেন কমলা ও জো বাইডেন।

“ইসরায়েল থেকে শুরু করে ইউক্রেন থেকে আমাদের দক্ষিণ সীমান্ত পর্যন্ত তারা একটি বিপর্যয়। কিন্তু আমরা আমেরিকাকে আবার শক্তিশালী করব এবং শক্তিমত্তা দিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনব!”

হিন্দু আমেরিকানদের ‘কট্টর বামপন্থি’ ও ধর্মবিরোধী এজেন্ডা থেকে রক্ষা করার কথাও বলেন তিনি।

“আপনাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করব। আমার প্রশাসনের অধীনে আমরা ভারত এবং আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আমাদের বৃহৎ অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করব।”

আরও নিয়মনীতি এবং অধিক কর দিয়ে কমলা হ্যারিস ছোট ব্যবসাগুলোকে ধ্বংস করে দেবেন বলেও সতর্ক করেন ট্রাম্প। বলেন, “এর বিপরীতে আমি কর কমাই, নিয়মনীতি সহজ করি। আমেরিকান তেজের প্রকাশ ঘটিয়েছিলাম এবং ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্থনীতি গড়ে তুলেছিলাম।

“আমরা এটি আবার করব, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে আরও বৃহৎ এবং ভালো; এবং আমরা আমেরিকাকে আবারও মহান করব৷”

দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি আশা করি আলোর উৎসব বদের উপর ভালোর বিজয়ের দিকে নিয়ে যাবে!”

আরও পড়ুন

মিয়ানমারে লড়াইয়ের জন্য জড়ো হচ্ছে রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারে লড়াইয়ের জন্য জড়ো হচ্ছে রোহিঙ্গারা

অনুবাদ রয়টার্স থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী বসতিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস। ২০১৭ সালে বৌদ্ধ অধ্যুষিত মায়ানমার সরকার দেশটির

যবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. এম মজিদের সংবর্ধণা কমিটির প্রস্তুতি সভা

হরিণাকুণ্ডুতে যবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. এম মজিদের সংবর্ধণা কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

হরিনাকুণ্ড প্রতিনিধি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর বরেণ্য শিক্ষাবীদ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সলর অধ্যাপক ড. এমএ মজিদের সংবর্ধনা প্রদান কমিটির

মানুষের ভোটার অধিকার হরণ

‘মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি’

মোস্তাফিজুর রহমান, কোটচাঁদপুর মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি। ধর্ষণ সেঞ্চুরি করে উল্লাস করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি।

দরিদ্র মেধাবী ছাত্র নীরবের পাশে মানবতার হাত

দরিদ্র মেধাবী ছাত্র নীরবের পাশে মাও. আবু তালেব

বনি আমিন, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) ঝিনাইদহের মঙ্গলপৈতা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র সালমান ইসলাম নীরবের পড়াশোনার পথে দীর্ঘদিনের আর্থিক

কপ২৯: বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেল দরিদ্র দেশগুলো

কপ২৯: বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেল দরিদ্র দেশগুলো

ডেস্ক রিপোর্ট দীর্ঘ দর-কষাকষির পর সমঝোতায় পৌঁছেছে কপ২৯। বিশ্বের ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, জলবায়ু সংকটের ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোকে অভিযোজন