ঝিনেদার কাগজ || Jhenedar kagoj || সত্যের আলোয় সুন্দর

২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মহিলা লীগ নেত্রীকে যুবদল নেতা: ‘চার্জশিট থেকে কাটা যাবে, যোগাযোগ কইরেন, কাইটে দিমুনি’

মহিলা লীগ নেত্রীকে যুবদল নেতা বললেন, ‘চার্জশিট থেকে কাটা যাবে, যোগাযোগ কইরেন, কাইটে দিমুনি’

ডেস্ক রিপোর্ট

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি জহুরা বেগমের সঙ্গে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মাহবুবুর আলমের (লাভলু) মুঠোফোনে কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে মহিলা লীগ নেত্রীর নাম মামলা থেকে বাদ দিতে যুবদল নেতাকে প্রতিশ্রুতি দিতে শোনা যায়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

গতকাল শনিবার বিকেলে ওই দুজনের কথোপকথনের ২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের একটি অডিও ফেসবুক মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে পড়ে। অডিওটি প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যাচাই করা এবং তাঁদের দুজনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে যুবদল নেতা মাহবুবুর আলম স্থানীয় সংবাদকর্মীদের বলেছেন, একটি ছেলে ওই ফোন ধরিয়ে দিয়েছিল। তিনি সহজ-সরল মানুষ। তাঁকে কেউ ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।

জহুরা বেগম বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সদ্য অপসারিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। গত ৪ আগস্ট বকশীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ১ নভেম্বর ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন গোলাম মোস্তফা নামের এক বিএনপি নেতা। ওই মামলার ৩২ নম্বর আসামি জহুরা বেগম।

ওই মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়া নিয়ে যুব মহিলা লীগ নেত্রী ও যুবদল নেতার মধ্যে মুঠোফোনে কথোপকথন ফাঁস হয়। এতে সালাম ও কুশলবিনিময়ের পর জহুরা বেগম বলেন, ‘এখন এটা (তাঁর নাম) কি চার্জশিট থেকে কাটা যাবে?’ উত্তরে মাহবুবুর আলম বলেন, ‘চার্জশিট থেকে কাটা যাবে। তখন আপনি যোগাযোগ কইরেন, কাইটে দিমুনি।’

জহুরা বেগম আবারও বলেন, ‘এখন কোনো কিছু করা যাবে না?’ উত্তরে মাহবুবুর আলম বলেন, ‘এখন তো কিছু করা যাবে না। তবে মানিক ভাইয়ের (উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মানিক সওদাগর) সঙ্গে বসে কথা বলতে হবে।’

কথোপকথনের ব্যাপারে জানতে জহুরা বেগমের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যদিকে যুবদল নেতা মাহবুবুর আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মাহবুবুর আলম বলেছেন, ‘একটি ছেলে আমাকে ফোন ধরিয়ে দিয়েছিল। আমি সহজ-সরল মানুষ। সে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।’

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা মানিক সওদাগর বলেন, ‘ফোনালাপটি শুনেছি। আমার নামটি কেন বলেছেন, বিষয়টি জানি না। মামলা আমরা করছি। তাঁরা (আসামিরা) পলাতক। তাঁদের সঙ্গে আবার কিসের আলাপ? যেটুকু শুনেছি, সেটা হলো, একটি কাজের বিষয়ে কথা বলছিল। তাঁর এন্টি গ্রুপ (বিরোধী পক্ষ) কাজটি করছে। মাহবুবুর আলম নিজের ফোনে নয়, অন্য একজনের ফোনে কথা বলেছেন। তারপরও বিষয়টি জেলা যুবদলের আহ্বায়ককে জানানো হয়েছে।’

জানতে চাইলে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি কয়েকজন সাংবাদিকের কাছ থেকে শুনেছি। আমি ওই ফোনালাপ শুনিনি। বিষয়টি শুনব এবং সত্যতা যাচাই করব। বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন

মিয়ানমারে লড়াইয়ের জন্য জড়ো হচ্ছে রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারে লড়াইয়ের জন্য জড়ো হচ্ছে রোহিঙ্গারা

অনুবাদ রয়টার্স থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী বসতিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস। ২০১৭ সালে বৌদ্ধ অধ্যুষিত মায়ানমার সরকার দেশটির

যবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. এম মজিদের সংবর্ধণা কমিটির প্রস্তুতি সভা

হরিণাকুণ্ডুতে যবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. এম মজিদের সংবর্ধণা কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

হরিনাকুণ্ড প্রতিনিধি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর বরেণ্য শিক্ষাবীদ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সলর অধ্যাপক ড. এমএ মজিদের সংবর্ধনা প্রদান কমিটির

মানুষের ভোটার অধিকার হরণ

‘মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি’

মোস্তাফিজুর রহমান, কোটচাঁদপুর মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি। ধর্ষণ সেঞ্চুরি করে উল্লাস করে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি।

দরিদ্র মেধাবী ছাত্র নীরবের পাশে মানবতার হাত

দরিদ্র মেধাবী ছাত্র নীরবের পাশে মাও. আবু তালেব

বনি আমিন, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) ঝিনাইদহের মঙ্গলপৈতা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র সালমান ইসলাম নীরবের পড়াশোনার পথে দীর্ঘদিনের আর্থিক

কপ২৯: বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেল দরিদ্র দেশগুলো

কপ২৯: বছরে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পেল দরিদ্র দেশগুলো

ডেস্ক রিপোর্ট দীর্ঘ দর-কষাকষির পর সমঝোতায় পৌঁছেছে কপ২৯। বিশ্বের ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, জলবায়ু সংকটের ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোকে অভিযোজন